
টেস্ট ফরম্যাটে শক্তি-সামর্থ্যে কিংবা অভিজ্ঞতা-সব হিসেবেই বাংলাদেশের থেকে পিছিয়ে জিম্বাবুয়ে দল। শুধু তা-ই নয়, চার বছর ধরে লাল বলে জয়ের দেখাও পাচ্ছিল না সফরকারী। তারাই কিনা সিলেটে এসে রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশকে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে দাপটের সঙ্গে হারিয়ে দিয়েছে। তাতে প্রায় সাত বছর পর লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের বিপক্ষে এই ফরম্যাটে জয়ের স্বাদ পেয়েছে তারা। এর আগে সবশেষ ২০১৮ সালে এই মাঠেই বাংলাদেশকে হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। সব মিলিয়ে প্রথম টেস্ট হারকে কষ্টদায়ক বলে জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম। শুধু তা-ই নয়, তার মতে লাল বলে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন ফলাফল দলের জন্য 'বিব্রতকর'।
সিলেট বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাঁচ দিনের টেস্ট শেষ হয়েছে চার দিনে। জিম্বাবুয়ে তাদের টেস্ট ইতিহাসে রেকর্ড রান তাড়া করে জিতেছে তিন উইকেটে। গতকাল গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শান্তদের এমন হার নিয়ে ফাহিম বলেন, 'আসলে এটা কষ্টদায়ক। আমরা আমাদের দলকে যেভাবে দেখি বা দেখতে চাই কিংবা আমাদের দলের সক্ষমতা নিয়ে আমাদের যে ধারণা, সেটার সঙ্গে এই ফলাফলটা একেবারেই মেলেনি। খুব দুঃখজনক। আমরা কিন্তু চেষ্টা করি এমন কন্ডিশনে খেলতে, যেটা আমাদের সুবিধে হবে। যেখানে আইসিসি টুর্নামেন্ট বলি বা দেশের বাহিরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বলি, সব জায়গায় ভালো করতে পারব-এমন একটা কন্ডিশনেই খেলতে চাই। সেই চ্যালেঞ্জটাই নিতে চাই। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আমরা যেই খেলাটা খেলেছি, কন্ডিশন হয়তো আমাদের জন্য সুখকর ছিল না, তবে আমাদের দলের যে অভিজ্ঞতা, আমাদের দলে যে মানের খেলোয়াড় রয়েছে, তাদের থেকে আরো বেশি কিছু আমরা আশা করেছিলাম। তো অবশ্যই যেই ফলাফলটা হয়েছে, তা মোটেও সন্তুষজনক নয়। কিছুটা বিব্রতকরও।'
এই সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট মাঠে গড়াবে আগামী সোমবার। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে (সাবেক জহুর আহমেদ) মুখোমুখি হবে দুই দল। ইতিমধ্যে প্রথম টেস্টের স্কোয়াড থেকে দুই জনকে পরিবর্তন করে এই টেস্টের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। ফাহিম মনে করেন চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়াবে শান্তরা। বলেন, 'আশা করি আমরা ঘুরে দাঁড়াব। টেস্ট ফরম্যাটে আমাদের সক্ষমতা আসলে কেমন, সেটা বোঝানোরও এটা একটা ভালো সুযোগ খেলোয়াড়দের। তাদের এখন অনুধাবন করতে হবে যে, তারা নিজেদেরকে নিয়ে কী ভাবে, কী স্বপ্ন দেখে, জাতীয় দলকে তারা কোথায় নিয়ে যেতে চায়-কারণ দিন শেষে দলটা তাদের। তাই তাদেরকেই সিদ্ধান্তটা নিতে হবে। তাই আশা করি যে, এটা (হারটা) তাদের জন্য একটা শিক্ষা হয়ে থাকবে, শুধু খেলোয়াড়দের জন্য নয়, আমাদের সবার জন্য এবং এই রকম দিন যেন আমাদের আর দেখতে না হয়।'
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম