
চলতি বছর জুনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ, তবে ভেন্যু ও স্পন্সরশিপ জটিলতার কারণে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও প্রস্তুতির পথেই ছিল সব। কিন্তু আকস্মিক এক ঘোষণায় দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) জানিয়ে দিয়েছে, ২০২৬ সাল পর্যন্ত টুর্নামেন্ট স্থগিত করা হয়েছে।
সাফের প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়, ভবিষ্যতে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাফ সদস্য দেশগুলো এবং তাদের মার্কেটিং পার্টনার স্পোর্টস ফাইভ মনে করছে, নতুন ফরম্যাটে যাওয়ার জন্য আরও প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে।
তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, সাফের ঘোষণার আগে থেকেই এ বছরের আসর শ্রীলঙ্কায় কেন্দ্রীয় ভেন্যুতে আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল। এবারের আসরটি কেন্দ্রীয় ভেন্যুতে আয়োজনের পরেই হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ফরম্যাটে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও, একপ্রকার হঠাৎ করেই সাফ স্থগিতের ঘোষণা আসে।
সাফ সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন আগেই জানিয়েছিলেন, আগামী ২৪ মে নেপালের কাঠমান্ডুতে সাফের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সেই বৈঠকের আগেই এমন ঘোষণা ঘিরে প্রশ্ন ও সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, “আমরা বিষয়টি শুধু গণমাধ্যম ও সাফের ওয়েবসাইট থেকে জানতে পেরেছি। এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সাফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল জুনে সাফে অংশগ্রহণ করার।”
২০২৬ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপও যদি সে বছর আয়োজন করা হয়, তবে ফুটবলের বৈশ্বিক ব্যস্ত সূচির মাঝে এ টুর্নামেন্ট আয়োজনে নানান বাস্তবতা ও সীমাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে। যদিও সাফ বলছে, বিশ্বকাপের উন্মাদনার মাঝে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিক আয়োজন তাদের লক্ষ্য।
এই আকস্মিক সিদ্ধান্তে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল অঙ্গনে হতাশা ও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, এবং ভবিষ্যৎ আয়োজন নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠে এসেছে।