
গত এক দশকে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগ বিশ্ব ক্রিকেটকে দিয়েছে এক নতুন গতি ও দিগন্ত। আইপিএল দিয়ে যে বিপ্লবের সূচনা, তা এখন ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, ক্যারিবিয়ান থেকে শুরু করে আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এমনকি কানাডা ও নামিবিয়ার মতো নতুন বাজারেও। সেই তালিকায় এবার নতুন অন্তর্ভুক্তি নিউজিল্যান্ড।
ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ থেকে যেমন ক্রিকেটারদের বিশাল আয়ের সুযোগ তৈরি করেছে, তেমনি ফুলে-ফেঁপে উঠছে আয়োজকরাও। প্রতিটি দেশই এখন চায় নিজস্ব লিগের মাধ্যমে ক্রিকেটকে ঘরে তুলতে, অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে এবং বিশ্ব ক্রিকেটে প্রভাব বিস্তার করতে। শুধু প্রতি ভালোবাসা থেকে নয়, বরং রয়েছে কৌশলগত বিনিয়োগ, ব্র্যান্ড গড়ার প্রতিযোগিতা এবং প্রতিভা তৈরির গভীর প্রত্যয়।
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি) জানিয়েছে, তারা আমেরিকান কোম্পানি ট্রু নর্থ স্পোর্টস ভেঞ্চারস (টিএনএস)-এর সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছেছে, যার মাধ্যমে ২০২৭ মৌসুমে নতুন একটি মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) ফ্র্যাঞ্চাইজি আত্মপ্রকাশ করবে।
এনজেডসি আরও জানিয়েছে, এটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পূর্ণ সদস্য এবং একটি পেশাদার ক্রিকেট লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে "প্রথমবারের মতো ধরনের" চুক্তি হবে। টিএনএস বর্তমানে টরন্টো ও আটলান্টাসহ কয়েকটি শহরকে সম্ভাব্য ফ্র্যাঞ্চাইজির ঘাঁটি হিসেবে বিবেচনা করছে। উচ্চমানের পারফরম্যান্স ও অপারেশনাল সহায়তা দেবে এনজেডসি—যার মধ্যে কোচিং, ব্যবস্থাপনা ও সাপোর্ট স্টাফ অন্তর্ভুক্ত থাকবে—এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের জন্য।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী স্কট উইনিঙ্ক এক বিবৃতিতে বলেন, 'বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের প্রসারের সাথে সাথে আমাদের এমন কৌশলগত সুযোগ কাজে লাগাতে হবে, যা আমাদের ক্রিকেট নেটওয়ার্কের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। এটি আমাদের আয়ের পথকে বৈচিত্র্যময় করে, বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড ও ভক্তসংখ্যা বাড়ায় এবং খেলোয়াড় ও কোচদের জন্য নতুন প্রতিভা গঠনের ও ধরে রাখার পথ সৃষ্টি করে।'
বর্তমানে এমএলসিতে ছয়টি দল রয়েছে: লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউ ইয়র্ক, সান ফ্রান্সিসকো, সিয়াটল, টেক্সাস এবং ওয়াশিংটন ডিসি-তে। ২০২৭ সালের মধ্যে এই সংখ্যা আটে এবং ২০৩১ সালের মধ্যে দশে পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
এনজেডসি আরও জানিয়েছে, তারা এমএলসির সহ-প্রতিষ্ঠাতা সামীর মেহতা ও বিজয় শ্রীনিবাসনের সঙ্গে একটি দ্বিতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিষ্ঠাসহ অন্যান্য সম্ভাব্য প্রকল্পেও অংশীদার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে, যা ২০৩১ সালে শুরু হতে পারে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম