
দুপুরে সিলেট থেকে রওনা হয়ে বিকেলে গ্রামের বাড়িতে এসেছেন হামজা চৌধুরী। হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্বানঘাটের চৌধুরী বাড়িতে নেমেছে বিশাল উৎসবের ঢেউ। গ্রামের মানুষ, আত্মীয়স্বজন, সংবাদমাধ্যম মিলিয়ে বাড়িটা যেন গিজগিজ করছে। অনেকটা যেন বিয়ে বাড়ির ধুম।
বাড়ির সীমানা প্রাচীরের অন্যপাশে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। তাতে তিল পড়ার জায়গা নেই। সামনে শত শত উৎসুক জনতা। একটা সময় হামজা মঞ্চে এলেন। ঝাঁকড়া চুলের মাথায় গাঁদা ফুল। মাথা অনেকটা হলুদ রং নিয়েছে। গায়ে টি শার্ট। হামজাকে দেখতে উৎফুল্ল লাগছিল। মুখে হাসি। এত ভিড় সম্ভবত তিনি উপভোগ করছিলেন।
একটা সময় হামজা মাইক্রোফোনের সামনে এলেন। লোকজনের অপেক্ষা কী বলেন। হামজা সবাইকে সালাম দিলেন প্রথমেই। পরের বাক্যগুলো একটু অন্যরকম। হামজা বললেন, ‘খুব ভাল্লাগছে তোমরা আইছো আমারে দেখবার লাগি।’
এটুক বলে হঠাৎ ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ বলা শুরু করলেন। ইংল্যান্ডের শীর্ষ স্তরে খেলা ২৭ বছর বয়সী ফুটবলার বলে যান, ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ (সমর্থকেরাও তখন বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলতে থাকেন)...বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’
দুই-তিনবার ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ বলে ছোট্ট শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষ করেন বাংলাদেশের ফুটবলের মহাতারকা। ঘোষকও কম যাননি। ‘ধন্যবাদ হামজা। আমরা তোমার জন্য গর্বিত। তুমি এখানে এসেছ । আমরা বাংলাদেশি। লাল সবুজ রং আমাদের’—এই বলে ঘোষক ইতি টানলেন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের।