
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে রাউন্ড ষোলোর দ্বিতীয় ম্যাচে মেট্রোপলিটানোতে হতাশায় ডুবেছে আতলেটিকো মাদ্রিদ। রিয়াল মাদ্রিদের কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে। তবে লা লিগার শিরোপা জয়ের দৌড়ে এখনো টিকে আছে দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা।
শিরোপার স্বাদ পেতে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আজ বার্সেলোনার বিপক্ষে মাঠে নামবে আতলেটিকো। ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় আতলেটিকো মাদ্রিদদের ঘরের মাঠ মেট্রোপলিটানোতে অনুষ্ঠিত হবে। সবশেষ কোপা দেল রে-এর কোয়ার্টার ফাইনালে মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা এবং আতলেটিকো মাদ্রিদ। ম্যাচটিতে ৪-৪ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দুই দল। দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মাঠে নামার আগে লা লিগায় মুখোমুখি হবে হ্যান্সি ফ্লিকে এবং দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা।
স্প্যানিশ লা লিগায় এখন পর্যন্ত মোট ৪৩ ম্যাচ মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। সেখানে কাতালানদের ২৪ জয়ের বিপরীতে আতলেটিকোর জয় ৯ ম্যাচে। বাকি ১০ ম্যাচ ড্র হয়। আজকের ম্যাচে যে দল জিতবে তারাই চলতি মৌসুমে লা লিগায় শিরোপা জয়ের দৌড়ে এগিয়ে যাবে। যদিও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে দুই দলই শক্ত অবস্থানে আছে। তবে আতলেটিকো বস সিমিওনের মতে বতর্মানে বিশ্বের সেরা ক্লাব বার্সেলোনা।
যার কারণে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সতর্ক অবস্থানে থাকবে স্বাগতিকরা। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২৬টি ম্যাচ খেলেছে আলভারেজ-গ্রিজম্যান, ডি পলরা। ১৬ জয়ে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে আছে স্পেনের রাজধানীর এই দল। অন্যদিকে আতলেটিকোর চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ১৮ জয়ে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীষে আছে ইয়ামাল-রাফিনিয়া (গতকাল রাতে মাদ্রিদ ও ভিলারিয়ারের ম্যাচের আগ পর্যন্ত)।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে কোপা • দেল রে-এর প্রথম লেগের ম্যাচ শেষে আতলেটিকো মাদ্রিদ দুর্দান্ত দল বলে আখ্যা দিয়েছিলেন বার্সা বস হ্যান্সি ফ্লিক। তিনি বলেছেন, আতলেটিকো খুব ভালো খেলেছে। তারা দুর্দান্ত দল। আমরা ভালো এবং শক্তিশালী দলের মুখোমুখি হয়েছি।' সেই ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে বার্সার গোলে বল জড়িয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন সিমিওনের দল। যার কারণে এই ম্যাচে শেষ ১০ মিনিটে বার্সার রক্ষণভাগ নিয়ে বাড়তি সর্তক থাকবেন হ্যান্সি ফ্লিক।
কেননা লা লিগায় চলতি আসরে অতিরিক্ত সময়সহ শেষ ১০ মিনিটে সবচেয়ে বেশি গোল করা দল আতলেটিকো। অন্যদিকে এই ম্যাচে আলভারেজ-গ্রিজম্যানের জন্য দুচিন্তার কারণ হতে পারে হ্যান্সি ফ্লিকের অফসাইট ফাঁদ। কেননা এই জার্মান কোচের মাস্টার প্ল্যানের কারণে প্রায় সব প্রতিপক্ষকে ভুগতে হচ্ছে। এখন দেখার বিষয় কীভাবে ফ্লিকের ফাঁদ থেকে বাঁচতে নিজের শিষ্যদের মাঠে নামায় আর্জেন্টাইন কোচ সিমিওনে।