সেভাবে দলীয় সাফল্য না পেলেও, ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে দারুণ এক বিপিএল পার করছেন তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। এক সেঞ্চুরি ও তিনটি হাফসেঞ্চুরির সুবাদে তিনি চলমান একাদশ আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। কেবল তাই নয়, ঢাকা ক্যাপিটালসের তৃতীয় জয় পাওয়ার ম্যাচে তানজিদ একটি গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড গড়েছেন। তিনি এখন এক আসরে বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর মালিক।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকা ক্যাপিটালস ও চিটাগাং কিংসের মধ্যে মুখোমুখি লড়াইয়ে তানজিদের অসাধারণ পারফরম্যান্সে জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা। চট্টগ্রাম প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৪৮ রান তোলে। তবে তানজিদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১৮.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ঢাকা। ৫৪ বলে ৩টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে তানজিদ করেন ৯০ রান। এই ইনিংসে ৭টি ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এক বিপিএলে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড ভেঙেছেন।
তানজিদের আগে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এক আসরে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড ছিল তাওহীদ হৃদয়ের। তিনি গত আসরে ১৪ ম্যাচে ২৪টি ছক্কা মেরেছিলেন। আরেকটি উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স ছিল ২০১৯ আসরে তামিম ইকবালের, যিনি ১৪ ম্যাচে ২৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু তানজিদ এই আসরে ১০ ম্যাচেই ২৯টি ছক্কা মেরে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন।
বিপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডটি এখনও ধরে রেখেছেন ক্রিস গেইল। ২০১৭ আসরে রংপুর রাইডার্সের হয়ে তিনি ১১ ম্যাচে ৪৭টি ছক্কা মেরেছিলেন। চলতি আসরে সেই রেকর্ড ভাঙা বা স্পর্শ করা তানজিদের জন্য বেশ কঠিন। কারণ ঢাকার প্রথম রাউন্ডে মাত্র দুটি ম্যাচ বাকি আছে, কোয়ার্টার ফাইনাল বা ফাইনালে পৌঁছাতে পারলে তারা আরও তিনটি ম্যাচ খেলতে পারে। তবে সেই সম্ভাবনা এখন অনেকটাই জটিল।
চলতি বিপিএলে এখন পর্যন্ত তানজিদের মোট রান ৪২০, যা এসেছে ১০ ম্যাচে ৪৬.৬৬ গড় ও ১৪৩.৮৩ স্ট্রাইকরেটে। তিনি আসরের শীর্ষ রানসংগ্রাহক হলেও তার দল ঢাকা ক্যাপিটালস ১০ ম্যাচে মাত্র ৩টি জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে। বাকি দুই ম্যাচ জিতলে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর খারাপ পারফরম্যান্স হলে ঢাকার পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।