তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। ম্যাচে আগে ব্যাট করে ২২৭ রানের পুঁজি দাঁড় করায় টাইগাররা। হেসেখেলে এই রান পেরিয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা। এই জয়ের ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয় নিশ্চিত করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অন্যদিকে ১০ বছর পর সিরিজ হারলো টাইগাররা।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং সৌম্য সরকারের ওপেনিং জুটি থেকে এসেছে ২৬ রান। ৫ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার সৌম্য। তবে একপ্রান্ত ধরে আগ্রাসী ব্যাটিং চালাচ্ছিলেন তানজিদ।
সৌম্যর বিদায়ের পর সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজও। কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটা। শীর্ষ চার ব্যাটারের মধ্যে তিনজনকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
তবে তানজিদ ছুটছিলেন। উইকেটের চারপাশে দারুণ সব শট খেলে দলের রান বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন, সেই সাথে নিজেও চলে গিয়েছিলেন ফিফটির কাছাকাছি। শেষমেশ ফিফটিটা ছোঁয়া হয়নি যদিও। ৩৩ বলে ৪৬ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে দলের ৬৪ রানের মাথাতে বিদায় নেন তানজিদ হাসান তামিম।
মাঝে ক্রিজে জুটি বাঁধেন আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে কিছুক্ষণ এগিয়েছে দল। তবে ২৯ বলে ২৪ রান করে বিদায় নেন আফিফের পর জাকের আলী অনিক ও রিশাদের দ্রুত বিদায়ে বাংলাদেশের রান হয়ে যায় সাত উইকেটে ১১৫ রান।
সেখান থেকে অষ্টম উইকেটের বাংলাদেশের রেকর্ড ৯২ রানের জুটিতে টেনে তোলেন রিয়াদ ও সাকিব।তানজিম ফিফটির আগেই নিয়েছেন বিদায় নিলেও ৬২ রানের ইনিংস খেলেন রিয়াদ শেষ দিকে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ে ৮ বলে ১৫ রান করেন শরিফুল ইসলাম। ৪৫.৫ ওভারের মাথায় ২২৭ রান করে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
জবাব দিতে নেমে এভিন লুইস এবং ব্রেন্ডন কিং মিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। দুজনের ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের সুবাদে রকেটের গতিতে রান তুলতে থাকে উইন্ডিজ। উদ্বোধনী জুটি থেকে এসেছে ১০৯ রান। ৬২ বলে ৪৯ রান করা লুইসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন।
তবে অপ্রতিরোধ্য কিংকে দলের ১৭৬ রানের মাথাতে বোল্ড করেন নাহিদ রানা। তিনে নামা কেসি কার্টি করেন ৪৫ রান। বাকি কাজটা আরামেই সেরেছেন শাই হোপ এবং শেরফান রাদারফোর্ড। ৭৯ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় পায় ক্যারিবিয়ানরা। এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম