বাংলাদেশ থেকে ২০২৩ সালে ওয়ানডে সিরিজ জিতে গিয়েছিল আফগানিস্তান। সেই সিরিজের ব্যর্থতা তামিম ইকবালের অবসর ঘোষণায় চাপা পড়ে গেলেও একটা বড় বার্তা ছিল ব্যর্থতায়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিততে হলে এখন থেকে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে বাংলাদেশকে। চলমান সিরিজে সেই অভিজ্ঞতা মোটামুটি হয়ে গেছে। নাজমুল হোসেন শান্তরা প্রথম ম্যাচেই হেরে গিয়েছিলেন স্বাগতিকদের কাছে। শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচ জেতায় রক্ষা। শেষ ম্যাচটিকে সিরিজ নির্ধারণী বানাতে পেরেছে বাংলাদেশ। আরব আমিরাতের শারজাহ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী সেই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আজ।
এ রকম পরিস্থিতি উভয় দলের জন্যই চাপের। বাংলাদেশের জন্য সেটা একটু বেশি। কারণ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আফগানদের চেয়ে ভালো দল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা বেশি। স্বাভাবিকভাবেই সিরিজ ২-১ ব্যবধানে শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য রসদ নিয়ে যেতে চেষ্টা করবেন শান্তরা। সমন্বিত পারফরম্যান্স করা গেলে জয় দিয়ে শেষ করা কঠিন হওয়ার কথা না। কারণ, ওয়ানডে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে পছন্দের সংস্করণ। ক্লিক করে গেলে বিশ্বের যে কোনো দলকে যে কোনো কন্ডিশনে হারাতে পারে। সেখানে আফগানিস্তান মাঝারি মানের একটি ক্রিকেট খেলুড়ে দল। এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাদের এখনও বাংলাদেশের সমকক্ষ মনে করা হয় না। সেই জায়গা থেকে শান্তদের জন্য আজ অগ্নিপরীক্ষা। অলআউট ক্রিকেট খেলে যে কোনো মূল্যে জিততে হবে নিজেদের সম্মান ধরে রাখার প্রয়োজনে।
এ ক্ষেত্রে একটা ব্যাপার আছে খেয়াল করার মতো। শারজাহ স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে পারলে ভালো করা তথা জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকে। মরুর এই ভেন্যুতে দিনে যত সহজে রান করা যায়, রাতে ততটা না। জিততে হলে অলআউট ক্রিকেট খেলা অপরিহার্য। শান্তদের আজ অলআউট ক্রিকেট খেলার মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামতে হবে। টসে হেরে বোলিং পেলেও প্রতিপক্ষকে কম রানে গুঁড়িয়ে দিতে পারলে রান তাড়া করা সহজ হবে।
গত দুই ম্যাচের অভিজ্ঞতা অন্তত তাই বলে। ফ্ল্যাড লাইটের আলোয় বেশি সুবিধা পান বোলাররা। প্রথম দিন আফগানিস্তানের অখ্যাত স্পিনার আল্লাহ গজনফর ছয় উইকেট শিকার করে একাই বাংলাদেশের ইনিংস ধসিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে শান্ত রান পেয়েছেন। নাসুম আহমেদ অলরাউন্ড নৈপুণ্য দিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচেও দলীয়ভাবে ভালো খেলতে চায় বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের চলমান ওয়ানডে সিরিজটিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি সিরিজও বলা যায়। কারণ, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে আট জাতির টুর্নামেন্টে ভালো করতে হলে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। আর প্রস্তুতি মিশনের শেষ ম্যাচে সেরা একাদশ নিয়েই খেলবে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদের সঙ্গে থাকবেন তিন পেসার– মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম