চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠতে জিততেই হতো পিএসজিকে। প্রথম লেগে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে ০-১ গোলে হেরে আসায় অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিতলে ফাইনালের টিকিট পেত লুইস এনরিকের দল। তবে জয় পরের কথা, ঘরের মাঠে হেরেই গেছে পিএসজি। আবারও ১-০ গোলের হারের সেমিফাইনাল থেকেই তাই ছিটকে গেছে পিএসজি, আর ১১ বছর পর ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চের ফাইনালে ডর্টমুন্ড।
গতকাল মঙ্গলবার (৭ মে) দিবাগত রাতে পার্ক দে প্রিন্সেসে একক আধিপত্য দেখায় পিএসজি। বল দখল থেকে শুরু করে গোলের জন্য শট, স্বাগতিকরা ছিল বেশ এগিয়ে। তবে ভাগ্য খারাপ প্যারিসের ক্লাবটির। ডর্টমুন্ডের জমাট রক্ষণ পার করলেও দলটির ফুটবলাররা ভেদ করতে পারেনি জাল। এছাড়া বেশ কয়েকটি শট পোস্ট ও ক্রসবারে লাগলে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় পিএসজিকে।
প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছিলেন জার্মান স্ট্রাইকার নিকলাস ফুলক্রুগ। পিএসজির মাঠে গোলটি এসেছে সেন্টার ব্যাক ম্যাটস হামেলস। ৫০ মিনিটে ভাগ্য নির্ধারণী গোলটি করেন তিনি।
পিএসজিকে বিদায় করে ডর্টমুন্ড ফাইনালের টিকিট কাটায় ফিরে আসছে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেই ২০১২-১৩ মৌসুমের স্মৃতি। সেবার ডর্টমুন্ড ফাইনাল খেলেছিল লন্ডনের ওয়েম্বলিতে স্বদেশী বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে । এবারও ফাইনাল হতে যাচ্ছে সেই ভেন্যুতে, সঙ্গে প্রতিপক্ষ হিসেবে কালো-হলুদরা এবারও পেতে পারে সেই বায়ার্নকে।
সেমিফাইনালে আজ বুধবার (৮ মে) দিবাগত রাতে বায়ার্নের প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ! মিউনিখে ২-২ সমতার পর বুধবার বার্নাব্যুতে বায়ার্ন রিয়ালকে হারিয়ে দিলেই হবে ২০১২-১৩ মৌসুমের ফাইনালের পুনরাবৃত্তি।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম