তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ম্যাচেও রিজওয়ান-বাবরের দলকে ১১ রানে ধরাশায়ী করেছিল প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের মধ্যদিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
এদিন সেঞ্চুরিয়ানে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তবে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি সফরকারীদের। দলীয় ১৬ রানের মাথায় অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হারায় তারা। পরে সাইম আইয়ুব ও বাবর আজমের জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৮৭ রান যোগ করে পাকিস্তান। ২০ বলে ৩১ রানে বাবর আজম ফিরলে ভাঙে জুটি।
এরপর ৫ বল ৩ রান করে দাইয়ান গালিমের বলে মাফাকার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন উসমান খান। অন্যদিকে তায়াব তাহির ফেরেন ৬ রান করে। পরে পঞ্চম জুটিতে উইকেট জুটিতে সাইম আইয়ুবের সঙ্গে যোগ দেন ইরফান খান। পরবর্তীতে সাইম আইয়ুবের তাণ্ডবে ২০৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন সাইম আইয়ুব।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জাহানদাদ খানের বলে হোঁচট খায় প্রোটিয়ারা। দলীয় ৬ রানে রায়ান রিকেলটনকে হারায় তারা। এরপর পাওয়ার-প্লে শেষ হওয়ার আগে ফের প্রোটিয়া শিবিরে জোরালো আঘাত হানেন পাকিস্তানি এই বোলার। দলীয় ২৮ রানে ম্যাথিউ ব্রিটজকেকে ফেরান তিনি। ১০ বলে ১২ রান করে শাহীন আফ্রিদির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
রিজওয়ান-বাবরদের বোলিং তাণ্ডবে শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়লেও চাপ সামালে নেন রিজা হেনড্রিক্স ও রাসি ভান ডার ডুসেন। পরে রীতিমতো ব্যাটিং ঝড় তুলে পাকিস্তানি বোলারদের তুলোধুনো করেন তারা। এরমধ্যে ৬৩ বলে ৭ চার ও ১০ ছক্কায় সেঞ্চুরির ইনিংস সাজান হেনড্রিক্স। অবশেষে আফ্রিদির স্লোয়ার ডেলিভারি বাউন্ডারির কাছে থাকা ইরফানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১১৭ রানে সাজঘরে ফেরেন। অন্যদিকে ৩৮ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন রাসি ভান ডার ডুসেন। এতে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে প্রোটিয়াদের বেগ পেতে হয়নি। পাকিস্তানের হয়ে জাহানদাদ খান দুটি ও আব্বাস আফ্রিদি একটি উইকেট নেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম