
হজ ব্যবস্থাপনায় গাফিলতি পেলে অভিযুক্ত এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হজ প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এসময় সুষ্ঠুভাবে হজ ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান ধর্ম উপদেষ্টা।
আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে এবং এ বছর হজ যাত্রীদের চিকিৎসায় সৌদি আরবে ২০০ জন চিকিৎসক-নার্স ও কোটি টাকার ওষুধ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান ধর্ম উপদেষ্টা।
তিনি জানান, হজ যাত্রীদের জন্য এখনো বাড়িভাড়া ও পরিবহন ঠিক না করায় ৯ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। সমস্যার সমাধান না হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো জানান, এ বছর ৫ হাজার ২০০ জন সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন। আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৮১ হাজার ৯০০ জন।
তবে হজ এজেন্সিগুলোর ব্যবস্থাপনায় অবহেলার কারণে ১০ হাজার ৪৮৭ জনের হজে যাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, মানুষের মধ্যে সুদ, ঘুস বা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আয় করার প্রবণতা আছে। তবে অসৎপথে উপার্জিত অর্থে হজ কবুল হবে না।
হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, কোন দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, সুদখোর বা ঘুসখোর যখন হারাম শরীফে গিয়ে বলে, আল্লাহ আমি হাজির। তখন ফেরেশতারা সমস্বরে বলতে থাকেন, তোমার হাজিরা কবুল হয়নি।
তিনি সকলকে সৎপথে অর্থ উপার্জনের অনুরোধ জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, হজব্রত পালনে শারীরিক কষ্ট ও অর্থ ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত রয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে পরিবহন সেবা নাও পাওয়া যেতে পারে। পায়ে হেঁটে মিনা-আরাফা-মুজদালিফায় যেতে হতে পারে। হাজিদেরকে কষ্ট বা ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা থাকতে হবে। সবকিছু সহজে মেনে নিতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করতে হবে।
প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, প্রশিক্ষণ মানুষকে কুশলি করে তোলে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই কর্মে সিদ্ধিলাভ করা যায়। যত বেশি মনোযোগ সহকারে হজ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা যাবে, হজের আনুষ্ঠানিকতা পালন তত বেশি সহজ হবে।