
দীর্ঘ ১৬ বছর পর কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমামের দায়িত্বে ফিরে পেয়েছেন মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ।
রোববার (২ মার্চ) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ঈদগাহ ময়দান কমিটির মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মো. এরশাদ মিয়া।
তিনি জানান, কিশোরগঞ্জ জেলাবাসীসহ মুসল্লিদের দাবি অনুযায়ী ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের সাবেক ইমাম মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহকে পুনরায় ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতাদের চাপে মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহকে শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমামতি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আবুল খায়েরের আগে তার পিতা মাওলানা একেএম নূরুল্লাহ টানা ৩০ বছর অবৈতনিকভাবে শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমামের দায়িত্বপালন করেছেন।
তারা জানান, মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম হিসেবে দায়িত্বপালন করে আসছিলেন। পরে ২০০৯ সালের দুই সেপ্টেম্বর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের চাপে তৎকালীন জেলা প্রশাসক তাকে সরিয়ে দেয়। পাশাপাশি মোতাওয়াল্লীর অধিকারকেও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ওয়াক্ফ দলিলের তোয়াক্কা না করে তৎকালীন জেলা প্রশাসক ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেন। সে সময় এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে ফরিদ উদ্দিন মাসউদ আত্মগোপনে আছেন। এছাড়া গত বছরের তিন সেপ্টেম্বর রাজধানীর রামপুরা থানায় হওয়া একটি হত্যা মামলার তাকে ছয় নম্বর আসামি করা হয়েছে।