শনিবার,

২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,

১০ ফাল্গুন ১৪৩১

শনিবার,

২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,

১০ ফাল্গুন ১৪৩১

Radio Today News

স্বামী-স্ত্রীর শয্যাগ্রহণে ভারসাম্য রক্ষা

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০:৩৬, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Google News
স্বামী-স্ত্রীর শয্যাগ্রহণে ভারসাম্য রক্ষা

আমি একজন গৃহবধু (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)। সম্প্রতি শয্যাগ্রহণ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে আমার কিছুটা মতভিন্নতা হচ্ছে। তাই স্বামীর সঙ্গে শয্যাগ্রহণের ব্যাপারে আমি শরিয়তের নির্দেশনা জানতে চাই।

প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, স্বামী-স্ত্রীর শয্যাগ্রহণের ব্যাপারে শরিয়তের নির্ধারিত কোনো সময়সীমা নেই। অর্থাত্ শরিয়ত স্বামী ও স্ত্রীর মিলিত হওয়া এবং না হওয়ার ব্যাপারে কোনো সময় সীমা নির্ধারণ করে দেয়নি। এ ক্ষেত্রে শরিয়তের নির্দেশনা হলো স্বামী ও স্ত্রী পরস্পরের ইচ্ছা ও চাহিদাকে মূল্য দেবে, তা রক্ষা করার চেষ্টা করবে।

স্ত্রীর উচিত যথাসম্ভব স্বামীর চাহিদা পূরণের চেষ্টা করা এবং স্বামীর উচিত স্ত্রীর শরীর ও মনোভাবের প্রতি লক্ষ্য রাখা, তাঁর সুস্থ ও অসুস্থতা, প্রফূল্ল ও ক্লান্তি ইত্যাদি বিবেচনায় রাখা। যেন শয্যাগ্রহণের বিষয়টি স্ত্রীর জন্য বোঝা ও বিরক্তির কারণ না হয়। এককথায় বললে, শয্যাগ্রহণের ব্যাপারে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ে ভারসাম্য রক্ষা করে চলবে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে বিছানায় আহ্বান করে এবং স্ত্রী (শরয়ি অপারগতা ছাড়াই) তা প্রত্যাখান করে, অতঃপর স্বামী মনোকষ্ট নিয়ে রাত্রীযাপন করে, তখন সকাল পর্যন্ত সেই স্ত্রীর প্রতি ফেরেশতারা অভিশাপ দিতে থাকে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩২৩৭)

একইভাবে মহান আল্লাহ নারীর প্রতি সহনশীল আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমরা তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করো। আর যদি তাকে তোমার অপছন্দও হয়, তবু তুমি যা অপছন্দ করছ, আল্লাহ তাতে সীমাহীন কল্যাণ দিয়ে দেবেন।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১৯)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোনো মুমিন পুরুষ মুমিন নারীর ওপর রুষ্ট হবে না, কেননা যদি তার কোনো কাজ খারাপ মনে হয়, তাহলে তার এমন গুণও থাকবে, যার ওপর সে সন্তুষ্ট হতে পারবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৪৬৯)

আল্লাহ সর্ববিষয়ে সবচেয়ে ভালো জানেন।

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের