শনিবার,

২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,

১০ ফাল্গুন ১৪৩১

শনিবার,

২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,

১০ ফাল্গুন ১৪৩১

Radio Today News

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আজ শেষ হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:৫৪, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ০৮:১২, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Google News
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আজ শেষ হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা

এবারই প্রথম দুই পর্বে তিনটি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আজ শেষ হচ্ছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা। এ ছাড়া এই প্রথম ইজতেমা ময়দানে পালিত হয়েছে পবিত্র শবেবরাত। আজ টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে সকাল দুপুর ১২টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে ইজতেমার আখেরি মোনাজাত।

ইজতেমার শেষ পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ঢাকা, গাজীপুরসহ সারাদেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা দলে দলে ইজতেমা ময়দানে আসছেন। এ পর্বের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।

ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শনিবারও (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিনভর লাখ লাখ মুসল্লির পদচারণা ছিল ইজতেমা ময়দানে। দিনব্যাপী জিকির-আসকার-বয়ান, ইবাদত-বন্দেগি, আল্লাহু আকবার ধ্বনি, পবিত্র কোরআন-হাদিসের আলোকে বয়ানের মধ্য দিয়ে আজকের দিনি অতিবাহিত হয়েছে। তবে এ পর্বে আখেরি মোনাজাত আরবি ও উর্দুতে পরিচালনা করার কথা রয়েছে। মোনাজাতের আগে হবে হেদায়াতি বয়ান।

তাবলিগের ৬ উসুলের (মৌলিক বিষয়ে) ওপর শনিবার বাদ ফজর বয়ান করেন মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ, তরজমা করেন মাওলানা ওসামা ইসলাম। সকাল সাড়ে ৯টায় তালিমের মওজুর (ফজিলত ও আদব) বয়ান করেন নিজামুদ্দিন মারকাজের মুফতি ইয়াকুব।

বাদ জোহর বয়ান করেন আরবের মেহমান, তরজমা করেন মাওলানা মোস্তফা খলিল। বাদ আসর বয়ান করেন হাফেজ মঞ্জুর, তরজমা করেন মাওলানা রুহুল আমিন। বাদ মাগরিব বয়ান করেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ, তরজমা করেন মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ।

উর্দুতে বয়ান হলেও বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসি ভাষায় তাত্ক্ষণিক অনুবাদ করা হচ্ছে। বয়ান চলাকালে পুরো ইজতেমা ময়দানে নেমে আসে পিনপতন নীরবতা।

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম জানান, শনিবার বিকেল পর্যন্ত অর্ধশতাধিক রাষ্ট্রের প্রায় এক হাজার ৭০০ মেহমান উপস্থিত হয়েছেন। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, আলজেরিয়া, বাহরাইন, কম্বোডিয়া, কানাডা, চায়না, ফিজি, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, সুদান, থাইল্যান্ড, তিউনিশিয়া উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন ভাষাভাষী ও মহাদেশ অনুসারে ইজতেমা ময়দানে বিদেশি মেহমানদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন তাঁবু নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের