চলতি বছর সরকারি অর্থে কেউ হজে যাবে না বলে জানিয়েছেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, হজের ব্যয় কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, এ বছর কেউ সরকারি অর্থে হজে যাবে না। হজ ব্যবস্থাপনার জন্য যাদেরকে যেতে হয় তারা যাবে। হজের ব্যয় কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যতটা সম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে। হজের প্যাকেজ এই মাসের শেষেই ঘোষিত হবে। তখন আপনারা দেখতে পারবেন আমরা কতটা কমিয়েছি।
তিনি বলেন, হজ নিয়ে আমাদের ব্যবস্থাপনা সৌদির ব্যবস্থাপনা সব কিছু মিলিয়ে করতে হয়। সেহেতু ৩০ তারিখ পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। সমুদ্রপথে হজ যাত্রায় সৌদি আরবের কোন আপত্তি নেই।
গেলো ১৫ বছরে সরকারি খরচে হজপালন নিয়ে প্রচুর সমালোচনা থাকলেও অনেকেই এ জন্য রীতিমতো তদবির পর্যন্ত করতেন। প্রতি বছরই সরকারি অর্থে অবসরপ্রাপ্ত সচিব থেকে শুরু করে বিচারপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই হজে যেতেন।
চলতি বছর (২০২৪) ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭১ জনকে হজ পালনের জন্য সৌদি আরব পাঠায় পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। এর আগের বছর সরকারি খরচে হজে যান ২৩ জন। আর ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানান, সরকারি খরচে ২০২২ সালে ২৫৪ জনকে হজে পাঠানো হয়।
২০১৪ সাল থেকে নির্দিষ্টসংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে সরকারি খরচে হজপালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে পাঠানোর কার্যক্রম চালু হয়। এরমধ্যে ২০২০ ও ২০২১ সালে মহামারি করোনার কারণে কাউকে হজে পাঠানো হয়নি। এই দু’বছর ছাড়া গত সাত বছরে ১,৯১৮ জনকে সরকারি খরচে হজে পাঠানো হয়েছে।