ছবি: সংগৃহীত
নীলফামারী সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র নাফিস ইসতে তৌফিক অন্তু। মহামারী করোনায় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার ভুত চাপে অন্তুর ঘাড়ে। বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েনি কখনই।
করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় গিনেস রেকর্ড গড়ার ইচ্ছা জাগে অন্তুর। প্রথমে স্ট্যাপলারের পিন দিয়ে শিকল তৈরি করে রেকর্ড গড়ার চেষ্টা করে সে।
পরে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ পিলের ৭.৩৫ সেকেন্ডের রেকর্ড ভেঙে মাত্র ৭.১৬ সেকেন্ডে পরিধান করে ১০টি সার্জিক্যাল মাস্ক। পাশাপাশি হাতের ব্যবহার ছাড়াই মুখ দিয়ে কলার খোসা ছাড়িয়ে ৩০.৭১ সেকেন্ডে খেয়ে কানাডার মাইক জ্যাকের ৩৭.৭ সেকেন্ডের রেকর্ড ভেঙে দেন। এর ফলস্বরূপ অন্তু ১৯ ডিসেম্বর হাতে পেয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের দুটি সনদপত্র।
অল্প বয়সে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ায় আনন্দিত অন্তুর পরিবারের সদস্য ও বিদ্যালয়ের সহপাঠীসহ শিক্ষকমণ্ডলী।
গিনেস বুক রেকর্ডধারী অন্তু বলে, করোনাকালীন পড়ালেখার পাশাপাশি টেলিভিশনে দেখে ইচ্ছে জাগে গিনেস ওয়ার্ল্ডে রেকর্ড গড়ার। তারপর সে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে দুটি রেকর্ড গড়তে সক্ষম হয়েছি। আর একটি রেকর্ড গড়ার প্রস্তুতি চলছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আমার শেষ ইচ্ছেটা পূরণ করতে পারি।
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার নীলকুঞ্জ আবাসিক এলাকার ইউনূছ আলী ও নাসমুন নাহার দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে বড় সন্তান নাফিস ইসতে অন্তু। অন্তুর বাবা একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে মার্কেটিং বিভাগে চাকরি করেন এবং মা গৃহিনী। পড়াশোনার পাশাপাশি ঘরে বসে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে বিভিন্ন উপাদান উদ্ভাবনের চেষ্টা করে অন্তু। তবে ছোট বেলা থেকেই অন্তুর স্বপ্ন একজন ইঞ্জিনিয়ার হওয়া।
রেডিওটুডে নিউজ/এসএস