টানা কয়েক দিনের অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে দিনাজপুরের হিলিতে ভারত থেকে আসা পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমদানিকারকরা বলছেন, বাছাই করা কিছু পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বেশির ভাগেই ফেলে দিতে হচ্ছে।
আমদানীকারকদের অভিযোগ, ভারতীয় ট্রাক চালক ও সহকারীরা বৃষ্টির মধ্যে ত্রিপল ঠিকমতো না দেওয়ায় পেঁয়াজগুলো ভিজে গেছে। সেই কারণে পচন ধরছে। প্রায় ৭০০ বস্তা থেকে ১০০ বস্তা নিতে পেরেছেন, বাকিগুলো ফেলে দিতে হচ্ছে।
স্থলবন্দরটি সূত্র জানায়, দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ এই স্থলবন্দরে প্রতিদিন কাঁচাপণ্য বিক্রি হয় কোটি কোটি টাকার। বন্দরটি দিয়ে বিশেষ করে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, আদা, রসুনসহ আমদানি হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় পেঁয়াজ।
সূত্রটির দাবি, প্রতিদিন ভারত থেকে গড়ে ২০ থেকে ২৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বাজারে দাম কমছেনা। সোমবার হিলি বন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। অথচ হিলি বন্দরের গুদামে পচছে নিত্যপণ্যটি।
হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে আট থেকে ১০ দিন সময় লাগে। তাছাড়া অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে আমদানির পেঁয়াজ ভিজে যাওয়ার ফলে পচে নষ্ট হচ্ছে।
পেঁয়াজ বাছাই করা কয়েকজন নারী বলেন, আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গুদামে পেঁয়াজ বাছাইয়ের কাজ করি। এতে ২০০ থেকে ২২০ টাকা পাই, তা দিয়ে সংসার চলে।
ফারুক নামের এক পেঁয়াজের পাইকার বলেন, হিলি বাজারে এসেছি পেঁয়াজ কিনতে। কিন্তু প্রতিটি গুদামেই পচা পেঁয়াজ দেখা যাচ্ছে। তারপরও ৯ বস্তা নিলাম। প্রতি বস্তা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা করে। ভালো পেঁয়াজগুলো ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে কিনলাম।
শহীদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্যে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিলশহীদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্যে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল
কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১৯ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ভারতীয় ২০৯ ট্রাকে ছয় হাজার ১৬ মেট্রিক টন।