ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক ইউসুফ আলীর লাশ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে ৭৮ দিন পর তার লাশ ফেরত দেয়া হয়। গত ৫ জুন সীমান্ত দিয়ে ভারত-বাংলাদেশিরা গরু পারাপার করার সময় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার কালীরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন ইউসুফ। তিনি উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের মেসেরডাঙা এলাকার শাহা জামালের ছেলে।
পাটগ্রাম থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ভারতের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার ওসি রাহুল তালুকদার পাটগ্রাম থানার এসআই মাহবুব হোসেনের কাছে ইউসুফ আলীর লাশ হস্তান্তর করেন। এ সময় তিস্তা ৬১-বিজিবি ব্যাটালিয়নের নাজিরগোমানী বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লিয়াকত হোসেন ও ভারতীয় রানীনগর-১৬৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের শ্রীমুখ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অরবিন্দ কুমার উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের পরিবার, বিজিবি ও পুলিশ সূত্র জানা গেছে, ৫ জুন ১০-১২ জনের একটি দল পাটগ্রাম উপজেলার কালীরহাট সীমান্তের ৮৫৭ নম্বর মেইন পিলারের ১৩ নম্বর সাব পিলার (ভারতীয় সীমান্ত) অতিক্রম করে গরু আনতে যায়। গরু নিয়ে ফেরার পথে ভারতীয় রানীনগর-১৬৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মীররাপা ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ইউসুফ আলী। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যান। পরে বিএসএফ তার লাশ নিয়ে যায়। নিহতের বাবা শাহা জামাল কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় মাতব্বরদের নিকট ঘুরতে ঘুরতে বিএসএফের গুলিতে নিহত ছেলে ইউসুফ আলীর লাশ ৭৮ দিন পর আজকে হাতে পেলাম। এখন জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
নাজিরগোমানী বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার লিয়াকত হোসেন বলেন, গত ৫ জুন ভোরে কালীরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন ইউসুফ আলী। আমরা তার লাশ ফেরত আনার জন্য বিএসএফের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছি। দীর্ঘ ৭৮ দিন পর আজ (মঙ্গলবার) তার লাশ ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।’ এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিএসএফ ও ভারতের পুলিশ ইউসুফের লাশ ফেরতের জন্য ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ দাবি করে আসছিল। অবশেষে এই সার্টিফিকেট ছাড়াই লাশ ফেরত দিতে সম্মত হওয়ায় আজ মঙ্গলবার ফেরত দিল।
রেডিওটুডে/এমএমএইচ