
মসজিদের ইমাম থেকে স্কুলের শিক্ষকরাও যেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সংসদ সদস্য (এমপি) হওয়ার সুযোগ পান, সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
রোববার (২০ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ দাবি জানান এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী। তিনি বলেন, দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হলে ইমাম ও শিক্ষকদের জন্যও সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে।
পাটোয়ারী আরও বলেন, ‘আমরা একটি সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এ প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচন কমিশনকেও সংস্কারের আওতায় আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। গত তিনটি নির্বাচনে যে সব কর্মকর্তারা অনিয়মে জড়িত ছিলেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। গত ১৫ বছরে যেসব ব্যক্তি জড়িত ছিলেন, তাদেরও যথাযথ আইনি ব্যবস্থার আওতায় আনতে হবে।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা চাই গ্রামীণ মসজিদের ইমাম, স্কুলের শিক্ষকও যেন পার্লামেন্টে যেতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা হোক। গেজেট প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সার্টিফিকেশন দিতে হবে যে নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে। অতীতে ঋণখেলাপিদের ভোটে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। আমরা বলেছি, এসব বিষয় তদন্ত করে আইনি নিষ্পত্তি করতে হবে।’
আজ ২০ এপ্রিল রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ থাকলেও এনসিপি গত বৃহস্পতিবার এ সময়সীমা নব্বই দিন বাড়ানোর আবেদন জানায়। এ আবেদনের পর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এনসিপির এটি ছিল প্রথম বৈঠক। দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সিইসির সঙ্গে এনসিপির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এ বৈঠক করে।