
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা গণতন্ত্রের কথা বলে গণতন্ত্রের উল্টো পথে হাঁটছেন। নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আপনারা অবশ্যই অনির্বাচিত, এবং সেটা প্রতিদিন আপনাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচিত সরকারের বিকল্প আপনারা হতে পারেন না। গণতন্ত্রের কথা বলে যারা গণতন্ত্রকে আড়াল করছেন, তারা কখনোই জনগণের প্রতিনিধি নন। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু এখন নানা উপদেষ্টা বলছেন, জনগণ নাকি তাদের পাঁচ বছরের জন্য চায়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়ে আমরা বহু মন্তব্য দেখেছি, সেটা তিনি দেখেননি?”
সালাহউদ্দিন আহমেদ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “আমাদের ফরিদা আপা বলছেন, তারা নাকি নির্বাচিত হয়েছেন। কিভাবে? জনগণ কি রাস্তার গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের নির্বাচিত করেছে? তাহলে নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজন কী?”
তিনি বলেন, “যদি রাস্তায় গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়, সেটা জনগণের কামনা হতে পারে। কিন্তু সেটার মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকারের বিকল্প তৈরি হতে পারে না।”
এসময় কবি ফরহাদ মজহারের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে সালাহউদ্দিন বলেন, “তিনি বলেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না, বরং লুটেরাদের সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে। এ ধরনের কথা রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের জন্য অবমাননাকর।”
তিনি আরও বলেন, “জাতি জানে, গণতন্ত্র ফেরাতে, ভোটাধিকার ফিরে পেতে কত মানুষ জীবন দিয়েছে, ফ্যাসিবাদকে রুখেছে। সেই অধিকার আজ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। যাদেরকে উৎসাহিত করছেন, তারা কোন অগণতান্ত্রিক শক্তি? প্রধান উপদেষ্টা কেন বারবার ডিসেম্বর থেকে জুনে, আবার জুন থেকে ডিসেম্বর—এভাবে দিক পরিবর্তন করছেন? এর ব্যাখ্যা জাতির কাছে আছে কি?”