
দুদকের মামলা চলমান থাকায় ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, তার স্ত্রী ফেরদৌসী খান ও ছেলে ফাহিম সাদেক খানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ২১টি হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এসব হিসাবে ৪ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৬৮৬ টাকা জমা রয়েছে।
জানা গেছে, ২১টি হিসাবের মধ্যে, ফেরদৌসী খানের ১৪টি, সাদেক খানের পাঁচটি ও ফাহিম সাদেক খানের নামে দুটি হিসাব রয়েছে। এসব হিসাবে ৪ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৬৮৬ টাকা রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক কে এম মর্তুজা আলী সাগর আলাদা তিন আবেদনে এসব হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ চান। পরে বিচারক সেটি মঞ্জুর করেন।
অবরুদ্ধের আবেদনে বলা হয়েছে, মো. সাদেক খান ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী খানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৯৮ লাখ ৩২ হাজার ৫২১ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করে তা নিজ দখলে রাখেন। এছাড়া নিজ নামে ১৫১টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৭ লাখ ৭০ হাজার ৩২৬ টাকা জমা ও ৩২ কোটি ৫৪ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮০ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৭২ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ১০৬ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস আড়াল করার উদ্দেশ্যে তা হস্তান্তর, স্থানান্তর করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারার এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাক্তিযোগ্য অপরাধে সূত্রে বর্ণিত মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলাটি বর্তমানে তদান্তাধীন রয়েছে। তদন্তকালে আসামি ফেরদৌসী খান এবং আসামি মো. সাদেক খানের নামে অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।
তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তদন্তকালে আসামি মিসেস ফেরদৌসী খান এবং আসামি মো. সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা অন্য কোন পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন বা হস্তান্তর করে বাংলাদেশের বাইরে গমন করে আত্মগোপনের আশঙ্কা রয়েছে। মামলাটি তদন্তের স্বার্থে তদন্তকালে আসামি ফেরদৌসী খান এবং আসামী মো. সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।