
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘সব আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে আমাদের প্রতিবেশী দেশ উত্তরাঞ্চলের উজানের গজলডোবায় বাঁধ নির্মাণ করেছে। করে তারা তিস্তার পানি নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে। তাদের এই অপ্রতিবেশীমূলক আচরণের কারণে আজ উত্তরাঞ্চলের মানুষ বন্যা ও খরায় দুর্বিষহ জীবন অতিবাহিত করছে।’
মঙ্গলবার (১৮ ফ্রেব্রুয়ারি) বিকেলে তিস্তা পাড়ে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও, জাগো বাহে দেশ বাঁচাও’ আন্দোলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ শীর্ষক তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে ১৭-১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তা নদী তীরবর্তী অঞ্চলে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির আজকের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশাল মহাসমাবেশে বক্তব্য দেন তারেক রহমান। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারি, রংপুর এবং তিস্তা পাড়ের গণমানুষের উদ্দেশে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও, জাগো বাহে দেশ বাঁচাও’ স্লোগানাটি দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তারেক রহমান বলেন, ‘আজকে সারা বিশ্বের মানুষ দেখে রাখুক, জেনে রাখুক। আজ উত্তরাঞ্চলের লাখো কোটি মানুষ পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছে না। আপনারা গত দুই দিন ধরে এখানে রয়েছেন। উত্তরাঞ্চলের পানির ন্যায্য হিস্যাবঞ্চিত মানুষেরা আজ বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিতে চায়, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে ৬৪টি অভিন্ন নদী, এই নদীর পানি তাদের ন্যায্য অধিকার, কারও করুনার বিষয় নয়। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের মানুষের প্রাপ্য। অথচ আজকে আমাদের সেই পানির জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এই পানি নিয়ে আমাদের প্রতিবেশী দেশ অপ্রতিবেশীমুলক আচরণ করে যাচ্ছে। সব আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে আমাদের প্রতিবেশী উত্তরাঞ্চলের উজানের গজলডোবায় বাঁধ নির্মাণ করেছে। করে তারা তিস্তার পানি নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে। তাদের এই অপ্রতিবেশীমূলক আচরণের কারণে আজ উত্তরাঞ্চলের মানুষ বন্যা ও খরায় দুর্বিষহ জীবন অতিবাহিত করছে। তিস্তার ওদিকে আজ ধু ধু বালুচর। আবার কখনো উজন থেকে ছেড়ে দিচ্ছে পানি, তাতে আমাদের এখানে বন্যা হচ্ছে। তাদের পানিতে বন্যায় শস্যের আর্থিক ক্ষতি লক্ষ কোটি টাকা।’