
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক নতুন ছাত্রসংগঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার, হাসিব আল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না আহ্বায়ক কমিটি তথা হাসনাত, সারজিস বা হান্নান মাসউদদের কেউই। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ইতোমধ্যেই। অনেকেই বলছেন, বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে সম্ভবত ভাঙনের সুর উঠেছে।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সংগঠনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘সেখানে আমাদের আহ্বায়ক কমিটির কোনো সদস্য ছিলেন না, সেটা ঠিক। তবে এখানে এ ধরনের কোনো দ্বন্দ্ব নাই। যেহেতু রাজনৈতিক দল গঠনের আগে ছাত্র সংগঠন গঠনের কথা বলা হয়েছে, তাই সবার সম্মতিতেই এটি হয়েছে।’
আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য নতুন ছাত্ররাজনীতি দরকার। এজন্য নতুন ধারার লেজুড়বৃত্তিহীন ছাত্ররাজনীতিকে আমরা স্বাগত জানাই। যারা নতুন ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে জড়িত হবে তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে পদত্যাগ করে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি প্রেসার গ্রুপ হিসেবে বিদ্যমান থাকবে। জুলাই এর স্পিরিটকে ধারণ করে এই সংগঠন দেশ গড়ার কাজ অব্যাহত রাখবে।’
অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে বক্তারাও জানান, বৈষম্যবিরোধীদের সঙ্গে নতুন ছাত্র সংগঠনের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও আদর্শিক জায়গা থেকে তাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। রাজনৈতিক প্রয়োজনে তারা বৈষম্যবিরোধীদের ছাতার নিত থেকে বের হয়ে আলাদা সংগঠন করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আবু বাকের মজুমদার বলেছেন, ‘আমাদের কাঙ্ক্ষিত সংগঠনের নাম ও আত্মপ্রকাশের তারিখ সম্পর্কে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। দুই দিন অনলাইন ও অফলাইনে জনমত জরিপের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, এই সংগঠন কোনো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি করবে না। এর স্লোগান হবে ‘স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’।