পাবনার সুজানগরে বিস্ফোরক মামলায় আবদুল ওহাব নামে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়ি থামিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। রোববার বিকেলে উপজেলার মথুরাপুর স্কুলমাঠে এ ঘটনা ঘটে। এতে ৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ছিনিয়ে নেওয়া আবদুল ওহাব সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি মথুরাপুর স্কুল গেট এলাকার বাসিন্দা। জেলা শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা একটি মামলার আসামি তিনি।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, আবদুল ওহাবকে গ্রেপ্তার করে গাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে অনেক মানুষ দৌড়ে এসে গাড়ির গতিরোধ করেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ওহাবকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, আসরের নামাজ আদায় করে মসজিদ থেকে বের হচ্ছিলেন আবদুল ওহাব। এ সময় পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে। মুহূর্তেই তার গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে মথুরাপুর, নারায়ণপুর, ভবানীপুর, বলরামপুরসহ কয়েকটি গ্রামের কয়েক শত লোক জড়ো হয়ে পুলিশের গাড়ি থামিয়ে ওহাবকে ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান বলেন, ‘আব্দুল ওহাব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে মথুরাপুর স্কুল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু কয়েক শতাধিক লোকজন তাকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। তাকে পুনরায় ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাবের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়ায় যায়।