শুক্রবার,

৩১ জানুয়ারি ২০২৫,

১৮ মাঘ ১৪৩১

শুক্রবার,

৩১ জানুয়ারি ২০২৫,

১৮ মাঘ ১৪৩১

Radio Today News

সংখ্যালঘুদের মৃত্যু কি ধর্মীয় সহিংসতায় নাকি অন্য কারণে, তদন্ত চান প্রেস সচিব

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:৫৩, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ০৭:৫৫, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫

Google News
সংখ্যালঘুদের মৃত্যু কি ধর্মীয় সহিংসতায় নাকি অন্য কারণে, তদন্ত চান প্রেস সচিব

গত চার মাসে দেশে সম্প্রদায়িক সহিংসতা নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। তারা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় গত চার মাসে ২৩ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। মৃত্যুর এই পরিসংখ্যান চ্যালেঞ্জ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন। 

শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকারদের সংখ্যা সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশের ইতিহাস রয়েছে, যেখানে সংখ্যাগুলো ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। তাদের পূর্ববর্তী প্রতিবেদনে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পরবর্তী দিনগুলিতে সংখ্যালঘুদের মৃতের সংখ্যা অত্যধিক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। গণ্যমান্য নিউজপোর্টাল নেট্রা নিউজ এবং বাংলা দৈনিক সমকাল বের করেছে যে, পরিষদের প্রতিবেদনে যে ৯টি মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে কমপক্ষে আটটি ধর্মীয় কারণে ঘটেনি।’

তিনি বলেন, ‘আজ তারা বলেছে যে, গত চার মাসে ২৩ জন সংখ্যালঘু মারা গেছেন। তারা দাবি করেছে যে, এই ২৩ জনের মৃত্যুর পেছনে ধর্মীয় উসকানির কারণ ছিল। বাংলাদেশে প্রতি মাসে ২০০ থেকে ৩০০ জন মানুষ মারা যায়, এর মধ্যে সংখ্যালঘুরাও অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে: তারা কি ধর্মীয় কারণে মারা গেছে? হত্যার পেছনে কি কোনো ধর্মীয় উদ্দেশ্য ছিল? নাকি এগুলি সাধারণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সমস্যা?’

তিনি বলেন, ‘আমরা দেশীয় সকল সংবাদপত্র, দেশের বৃহত্তম দৈনিকগুলি, টিভি স্টেশন, ওয়েবসাইট এবং ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি মিডিয়াগুলিকে আহ্বান জানাই এই ২৩ জন মৃত্যুর তদন্ত করতে। আমরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো, যেমন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচকেও এই মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করার জন্য আমন্ত্রণ জানাই। এছাড়া পরিষদকে অনুরোধ জানাই যে, গত চার মাসে নিহত ২৩ সংখ্যালঘু ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করুক। আমরা আপনার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মন্তব্য করব।’

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের