শুক্রবার,

২৪ জানুয়ারি ২০২৫,

১০ মাঘ ১৪৩১

শুক্রবার,

২৪ জানুয়ারি ২০২৫,

১০ মাঘ ১৪৩১

Radio Today News

‘জিয়াবাদ-মুজিববাদ কোনো বাদ আমরা বাংলাদেশে চাই না’

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০:৪৯, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

Google News
‘জিয়াবাদ-মুজিববাদ কোনো বাদ আমরা বাংলাদেশে চাই না’

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, বর্তমান রাজনৈতিক সংকটগুলো চলছে, সেখানে লাল সন্ত্রাস, সবুজ সন্ত্রাস আসবে। আমরা চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে জাতিগত বিদ্বেষ চাই না, কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম চাই না। 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলামোটরে নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে ‘১৯৭৪ এর দুর্ভিক্ষ: বাংলাদেশের রাজনীতি ও উন্নয়নপন্থায় প্রভাব’ শীর্ষক সভায় নাসীরুদ্দীন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যে আদর্শিক বিভাজন বাংলাদেশে রয়েছে, সেখান থেকে আমরা সরে আসতে চাই। বিভিন্ন যে বাদ আছে—জিয়াবাদ বলুন, মুজিববাদ বলুন আমরা কোনো বাদ বাংলাদেশে চাই না। আমরা বাংলাদেশে শুধু একটি বিষয় বুঝি, সেটা হলো জনগণ।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, জনগণ সবার উপরের জায়গায় থাকবে। জনগণের মূল্যায়নে সংবিধান তৈরি হবে। জনগণকে ফোকাস করে জনগণের জন্য আমরা লড়াই করতে চাই। জনগণের কাছে আমরা যেতে চাই। জনগণের জয়যাত্রা জারি থাকুক। জনগণ আমাদের প্রেরণার শক্তি হোক।

তিনি বলেন, আমাদের গত ৫৩ বছরে কখনই ক্ষমতা হস্তান্তর জনগণকে সুস্থভাবে দিতে পারিনি। একটা অভ্যুত্থানের পর পার্লামেন্ট থেকে জজ, উকিল, ব্যারিস্টার সবাই পালিয়ে গেল, কীভাবে পুরো বাংলাদেশ স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল। তখন দায়িত্ব আমাদের ওপর এসে পড়ে। আমরা কতটুকু করতে পেরেছি এটা জনগণ বিচার করবে। তখন বাংলাদেশে রাস্তায় লাশ পড়ছিল; হত্যাযজ্ঞ থামানোর জন্য রাজনৈতিক গোষ্ঠী কোনো উদ্যোগ নিচ্ছিল না। আমরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে মানুষের কাছে বুদ্ধি পরামর্শ নিয়েছি। যার কারণে আমরা এখনও নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছি। 

নাগরিক কমিটির এই নেতা বলেন, একাত্তর পরবর্তী এ দেশের জনগণকে যে আঘাত করা হয়, সেটা হলো জনগণকে অন্ধকারে রেখে একটি সংবিধান হয়েছিল। তার মাধ্যমে একটি বিভাজনের রাজনীতি চালু করা হয়। আমরা গত ৫৩ বছরে বিভাজনের সংকটে চব্বিশে এসে হাজারো শহীদ, অসংখ্য আহত হয়েছে। এখনও ১৯৭১-৭৫ সালে অজানা অধ্যায় অন্ধকারে রয়ে গেছে। 

সভায় বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের উন্নয়ন অধ্যয়নের অধ্যাপক ড. নাওমি হোসাইন। 

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের