একই স্থানে বিএনপির দুই পক্ষের কর্মসূচি ঘোষণার জেরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সাতক্ষীরা শ্যামনগরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল চারটা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পৌর এলাকায় সভা, সমাবেশ ও মিছিল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে সন্ধ্যায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে উভয় পক্ষ দাবি করেছে।
দলীয় সূত্র জানায়, ১৪ বছর পর গত রোববার উপজেলা ও পৌর বিএনপি আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি। সোলায়মান কবীরকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও গোলাম আলমগীরকে সদস্যসচিব করা হয়। অন্যদিকে শেখ লিয়াকত আলীকে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও শামছুজ্জোহাকে সদস্যসচিব করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর মধ্যে গতকাল আগের কমিটি ও ঘোষিত নতুন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি দেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবদুল আলীম।
নেতা-কর্মীরা জানান, বিএনপি নেতা সোলায়মান কবীরের নেতৃত্বে দলের একটি অংশ উপজেলা ও পৌর বিএনপির পক্ষ থেকে আজ বিকেল চারটায় উপজেলা সদরের এম এম প্লাজার পাশে কৃষক দলের কার্যালয়ের সামনে আনন্দমিছিল ও সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। একই জায়গায় বেলা দুইটায় ৩১ দফার পক্ষে কর্মশালা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি নেতা আবদুল ওয়াহেদের নেতৃত্বে আরেকটি অংশ। একই জায়গায় দুই পক্ষের কর্মসূচি ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে বিকেল চারটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রনী খাতুন ১৪৪ ধারা জারি করে নোটিশ জারি করেন।
বিএনপি নেতা আবদুল ওয়াহেদ বলেন, বিকেল পাঁচটার দিকে বিএনপি নেতা সোলায়মানের নেতৃত্বে একটি মিছিল নিয়ে বংশীপুরের দিকে যাওয়ার সময় মিছিল থেকে তাঁর পক্ষের নেতা আশেক-ই-এলাহির ইসমাইলপুর এলাকার বাড়িতে ইট ছোড়ে। এ সময় আশেক-ই-এলাহির ১০ বছর বয়সী ছেলে আহত হয়। এ ছাড়া আবদুর রশিদ, আবদুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন আহত হন।
তবে বিএনপি নেতা সোলায়মান কবীর বলেন, প্রশাসনের অনুরোধে তাঁরা হায়বাদপুর এলাকা থেকে বংশীপুর এলাকায় ফিরে যাওয়ার সময় বিএনপি নেতা আশেক-ই-এলাহির বাড়ির ভেতর থেকে তাঁদের ওপর ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। এ সময় তাঁদের ছয়জন আহত হন।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর মোল্যা জানান, বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। ইউএনও মোছা. রনী খাতুন জানান, বিএনপির দুই পক্ষ উপজেলা সদরের একই স্থানে কর্মসূচি ঘোষণা করায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শ্যামনগর পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।