সোমবার,

২০ জানুয়ারি ২০২৫,

৭ মাঘ ১৪৩১

সোমবার,

২০ জানুয়ারি ২০২৫,

৭ মাঘ ১৪৩১

Radio Today News

হাসিনার পক্ষ নিয়েও সরে গেলেন সেই ব্রিটিশ এমপিরা: এএপিজির প্রতিবেদন প্রত্যাহার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৫২, ২০ জানুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ০৮:৫৩, ২০ জানুয়ারি ২০২৫

Google News
হাসিনার পক্ষ নিয়েও সরে গেলেন সেই ব্রিটিশ এমপিরা: এএপিজির প্রতিবেদন প্রত্যাহার

সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ও তার সরকারের পক্ষ নিয়ে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের বিপক্ষে দেওয়া প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একদল এমপি। গত নভেম্বরে যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথবিষয়ক অল–পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এএপিজি) প্রতিবেদনটি দিয়েছিল।

প্রতিবেদনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর সমালোচনা করা হয়। ওই প্রতিবেদনের বহু তথ্য সঠিক নয় বলে অভিযোগ উঠে এবং ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) ব্রিটিশ প্রভাবশালী জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ‘দ্য গার্ডিয়ান’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনটি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে গেছে, এমন সমালোচনার মুখে এমপিরা তা প্রত্যাহার করেছেন বলে জানিয়েছে গার্ডিয়ান।

সংবাদমাধ্যমটি জানাচ্ছে, ‘যুক্তরাজ্য সরকারের কর্মকর্তারা বলেছেন, হাউস অব কমন্সে একজন এমপি অভিযোগ দেওয়ার পর ওই প্রতিবেদন আর বিতরণ করা হচ্ছে না এবং সেটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্রতিবেদনটি পর্যালোচনার আওতায় একটি অভ্যন্তরীণ নথি হিসেবে রয়েছে। এটা আর বিতরণ করা হচ্ছে না।’

বাংলাদেশে আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পতনের তিন মাস পর গত নভেম্বরে ‘বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক এ প্রতিবেদন সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করা হয়। ওই আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যাপক দমন–পীড়ন চালায়, যাতে আনুমানিক এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এএপিজি) ওই প্রতিবেদনে ড. ইউনূসের সমালোচনা করা হয়। এএপিজির চেয়ার কনজারভেটিভ পার্টির অ্যান্ড্রু রোসিনডেল একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ হওয়া উচিত, যেখানে শুধু ক্ষমতাসীনদের সমর্থকদের জন্য নয় বরং সবার জন্য সুযোগ থাকবে। অবিলম্বে এ ধারার পরিবর্তন না হলে নতুন সরকারের কাছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে আশা করছে, তা উধাও হয়ে বিপদ তৈরি করবে।’

প্রতিবেদনে ড. ইউনূসের সরকারের বিরুদ্ধে ‘আইনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার এবং ‘উগ্রপন্থী ইসলামিস্টদের’ পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগ করা হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আমরা প্রমাণ পেয়েছি যে সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা, এমপি, সাবেক বিচারক, পণ্ডিতজন, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এত বেশি সংখ্যায় হত্যার অভিযোগ আনা হচ্ছে যে সেগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।’ প্রতিবেদনটি মূলত নয়াদিল্লিভিত্তিক চিন্তন প্রতিষ্ঠান রাইটস অ্যান্ড রিস্ক অ্যানালাইসিস গ্রুপের তথ্য–প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে লেখা হয়।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের