জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের নেতারা তাদের মতামত প্রধান উপদেষ্টার কাছে ব্যক্ত করেছেন বলে জানালেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ। সকলকে অন্তর্ভুক্ত করে ঘোষণাপত্র করা উচিত বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এসব জানান সালাউদ্দিন। প্রতিটা রাজনৈতিক দলের এখন ঐক্য ধরে রাখাই মূল চ্যালেঞ্জ বলে জানান তিনি।
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঐক্যকে ধরে রেখে জাতীকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের সকল রাজনৈতিক দল বিশেষ করে যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছিলো। তাদের নিয়ে একটা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে চাই।
প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে এসেছি। যা পরামর্শ ছিলো আমরা দিয়েছি। ঘোষণাপত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক নেতারা তাদের পরামর্শ দিয়েছে। আমরা প্রশ্ন করেছি, এই সাড়ে পাঁচ মাস পরে ঘোষণাপত্রের প্রয়োজনীয়তা ছিলো কিনা। যদি থেকে থাকে সেটার রাজনৈতিক, আইনি ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব কী? তবে সবকিছু ঠিকঠাকভাবে হয় যেন কোনো ফাটল না ধরে।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা আরও বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ে কিছু নিয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে। বিভিন্ন পরামর্শমূলক বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে। আমরা প্রশ্ন করেছি যে, সাড়ে ৫ মাস পরে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের কোনো প্রয়োজন ছিল কি না। যদি থেকে থাকে, সেটার রাজনৈতিক গুরুত্ব, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং আইনি গুরুত্ব কী সেগুলো নির্ধারণ করতে হবে। এই ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে যাতে ফাটল সৃষ্টি না হয় সেদিকেও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।’
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এটা যেন রাজনৈতিক দলিল, ঐতিহাসিক দলিলে পরিণত হয়, সেই দলিলটাকে অবশ্যই আমরা সম্মান করি। কিন্তু সেটা প্রণয়ন করতে গিয়ে যাতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, পরামর্শ নেওয়া হয় সেদিকটা আমরা পরামর্শ দিয়েছি। সে বিষয়ে আমি প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সকল উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি। এ দিকে যেন তারা নজর রাখেন এবং সে হিসেবে পদক্ষেপ নেন। যাতে জাতীয় ঐক্যে যেনো কোনো রকম ফাটল তৈরি না হয়। আমাদের মধ্যে যাতে কোনো বিভ্রান্তি তৈরি না হয়। এগুলো আলাপ হয়েছে।’