বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আগস্টের পর দেখছি যতই দিন যাচ্ছে জুলাই বিপ্লবকে মুছে ফেলার এক ধরণের অপচেষ্টা চলছে। সরকারের যে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ছিল তা নিচ্ছে না। অবশ্যই এতে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদ ও আহতের স্বীকৃতি থাকতে হবে।
বুধবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীতে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র বিতরণ শেষে টাউন হল মাঠে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ৩১ ডিসেম্বর আমরা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে গিয়েছিলাম, সরকার যেহেতু দায়িত্ব নিয়েছে সব ধরণের রাজনৈতিক ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্র ঘোষণা করবে, আমরা আশ্বস্ত হয়ে ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণা করিনি। কিন্তু এরপর এতগুলো দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের আর্তনাদ আমরা এখনও শুনতে পাই। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দোহাই দিয়ে তাদের সুবিধাপ্রাপ্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দোহাই চলবে না।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে যারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে তাদের এবং সকল শ্রেণি পেশার মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আমরা সরকারকে এই বার্তা দিতে চাই- আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভুলেশন ঘোষণা করতে হবে। ৪৭, ৭১ ও ২৪ এর ধারাবাহিকতার সুস্পষ্ট বর্ণনা থাকতে হবে, একটি জাতি আওয়ামী জালিয়াতি থেকে মুক্তি পেয়েছে সে স্বীকৃতি থাকতে হবে, বিপ্লবে যে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছিল তাদের স্বীকৃতিও থাকতে হবে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কুমিল্লার মানুষ সর্বপ্রথম আন্দোলন শুরু করেছে, হাসিনার নির্ঘুমের কারণে ছিল এই কুমিল্লার জনগণ। এই কুমিল্লা থেকে সবসময় ফ্যাসিবাদ বিরোধী আওয়াজ উঠেছে। কুমিল্লা থেকে এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।