গণঅধিকার পরিষদ দলের মুখপাত্র ফারুক হাসানের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার না করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফারুক হাসানের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানায় দলটি। বিক্ষোভ শেষে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে একটি মিছিল শাহবাগ থানার দিকে যায়।
সমাবেশে নুর বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের যদি গ্রেপ্তার করা না হয়, তবে আমাদের নেতাকর্মীরা ব্যবস্থা নেবে। এ হামলার নেপথ্যে বারবার সারজিসের নাম আসছে। আশা করি সে তার অবস্থান পরিষ্কার করবে। এ হামলার পেছনে বিদেশি ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে। একই দাবি জানানোর পাশাপাশি দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সমাবেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করারও দাবি তোলেন।
এ সময় তিনি উপদেষ্টা পরিষদের সমালোচনা করে বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে বলতে চাই, যেসব উপদেষ্টা জনগণের পালস বোঝে না, তাদের বাদ দিয়ে নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ করুন। ফারুকের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ঘেরাও করব। তার অপসারণের আন্দোলন করব।
এর আগে শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসানের ওপর হামলা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে দেয়া বক্তব্যের জেরে সভায় উপস্থিত একদল লোক তার ওপর হামলা করে। হামলার সময় ফারুক হাসানের উদ্দেশ্যে তারা বলতে থাকে, আমাদের সরকারকে সমালোচনা করেছে। হামলা থেকে বাঁচতে গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র দৌড় দিলে হামলাকারীরা তার পেছনে দৌড় শুরু করেন এবং তাকে ধরে রক্তাক্ত করেন। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ফ্যাসিবাদ বিলোপ ও নতুন সংবিধানের দাবিতে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক সংগঠন নাগরিক সমাবেশ আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা ফারুক হাসান। অনুষ্ঠান চলাকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের নানা সমালোচনা করেন ফারুক। এ সময় সভায় উপস্থিত কয়েকজন মঞ্চে এসে ফারুকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। এরপর বক্তব্য শেষে নেমে যাওয়ার সময় কয়েকজন ব্যক্তি এসে ফের ফারুক হাসানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান এবং এক পর্যায়ে তার এবং সঙ্গীদের ওপর হামলা করেন। এ সময় কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধরা। এরপর ফারুককে ধাওয়া দিয়ে ঢাকা মেডিকেল অভিমুখী সড়ক পর্যন্ত নিয়ে যান এবং সেখানেও তাকে মারতে থাকেন তারা।