বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়, সেভেন সিস্টার্স রক্ষার জন্য ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলো বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ভারতের ভয় ছিলো আমি না দ্বিখণ্ডিত হয়ে যাই।
শনিবার চট্টগ্রাম নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব বলেন তিনি। আলোচনার আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম নগর। সারজিস বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ ভারতকে বাংলাদেশের মনিবের কাতারে নিয়ে গেছে। নিজেরা স্বেচ্ছায় দাসত্ব বরণ করেছিল। শুধু নিজেদের ক্ষমতাকে সিকিউর (নিরাপদ) করার জন্য। তাদের কাছে দেশ, দেশের মানুষ, দেশের সার্বভৌমত্বের চেয়ে ক্ষমতার মূল্যটা বেশি ছিল। যেকোনো মূল্যে তারা ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল।’
‘ভারতের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্য প্রতিরোধ, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সমস্যার সমাধান এবং বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এ আলোচনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মকে বোঝাতে হবে, শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়, বরং নিজেদের সেভেন সিস্টার্সকে বাঁচাতে কীভাবে ভারত এই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। যেই সেভেন সিস্টার্স ৭১–এর আগে বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে প্রায় বিদ্রোহের মধ্যে থাকত, সেই সেভেন সিস্টার্সসংলগ্ন যখন পাকিস্তানের একটি বড় অংশ ছিল, তখন ভারত এটার ভয় পেত যে আমি না দ্বিখণ্ডিত হয়ে যাই।’
সারজিস আরও বলেন, ‘ভারত এই বাংলাদেশে বিগত বছরগুলোয় প্রতিটি জায়গায় যে আগ্রাসনগুলো চালিয়েছিল, সেটার মধ্যে সবচেয়ে হিংস্র ও গুরুত্বপূর্ণ একটি হচ্ছে আমাদের সংস্কৃতি। কারণ, আমরা যা, এটিই আমাদের সংস্কৃতি। আমরা যা খাই, পরি, বলি এই বিষয়গুলো আমাদের সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত। আমাদের মায়েরা–বোনেরা বাসায় বসে বসে টিভি সিরিয়াল দেখেন। বাংলাদেশে যে বিদেশি চ্যানেলগুলো এর নব্বই ভাগ ভারতের। বিপরীত দিকে দেখেন, ভারতে তারা বাংলাদেশের একটি চ্যানেলও প্রচার করতে দেয় না।’