মঙ্গলবার,

০৭ জানুয়ারি ২০২৫,

২৩ পৌষ ১৪৩১

মঙ্গলবার,

০৭ জানুয়ারি ২০২৫,

২৩ পৌষ ১৪৩১

Radio Today News

জুতা মে রে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করলো ঢাবি

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩:১৮, ৪ জানুয়ারি ২০২৫

Google News
জুতা মে রে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করলো ঢাবি

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে তার প্রতিকৃতিতে জুতা-রঙ নিক্ষেপ এবং বিকেলে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সাদ্দাম হোসেন, শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, মাজহারুল কবির শয়ন, তানভীর হাসান সৈকতের ছবিতে জুতা-রঙ নিক্ষেপ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু হলে চলে জুতা নিক্ষেপ। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘বাকশাল-মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেন। বেলা সোয়া ৩টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস রাইটস ওয়াচ’ প্লাটফর্ম ‘হেট থ্রু’ ব্যানারে শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ নেতাদের একটি ছবি সম্বলিত ব্যানারে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি আয়োজন করে। ব্যানারে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকা বিনতে হোসেনের ছবিও ছিল।

শিক্ষার্থীরা ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘আমার সোনার বাংলায়, মুজিববাদের ঠাঁই নাই/ স্বৈরাচারের ঠাঁই নাই’, হাসিনা-সাদ্দাম-কাদের-শয়নের গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনী কেন বাহিরে’, ‘হৈ হৈ রৈ রৈ, ছাত্রলীগ গেলি কই?’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

রাজু ভাস্কর্যে শিক্ষার্থীরা জুতা মারার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ তিনটি জুতা একসাথে নিক্ষেপ করার সুযোগ পান। কেউ যদি জুতা নিক্ষেপ করে টানা তিনবার ব্যানারের নেতাদের গায়ে লাগাতে পারেন তাহলে তাকে পুরস্কার স্বরূপ একটি ‘মোজো’ দেওয়া হয়।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা একসময় হলে শিক্ষার্থীদের সাথে ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে। তারা রাতে বলতো, আগামীকাল ভাইটাল প্রোগ্রাম আছে, কেউ অনুপস্থিত থাকলে তাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হবে। সন্ত্রাসীরা আমাদের ক্লাস-পরীক্ষার সময়ও ব্যাঘাত ঘটাত। আমাদের দাসপ্রথার মধ্যে ফেলে দিয়েছিলো তারা। আমরা সন্ত্রাসীদের ছবিতে জুতা মারার পাশাপাশি, গেস্টরুম, গণরুম, ভাইটাল প্রোগ্রাম, আধিপত্যবাদ, লেজুড়বৃত্তি, ফ্যাসিবাদ, মুজিববাদ আমলের কবর রচনা করেছি।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের খুনিরা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। সরকারকে বলতে চাই, অনতিবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশাসনের ফ্যাসিবাদদের চাকরিচ্যুত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যারা শহীদ হয়েছে তাদের পরিবারকে পুনর্বাসন করতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের