কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষিত ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি। তাতে যোগ দিয়েছে সারা দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) শহিদ মিনার এলাকায় সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে শহিদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
এ সময় ছাত্র-জনতাকে ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন নিপাত যাক’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি-আজাদি’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’— প্রভৃতি স্লোগান দিতে শোনা যায়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, শহিদদের রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি, এর মধ্যে কেউ কেউ স্বৈরাচারকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যখনই আমরা চিরতরে দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে চাই, তখনই সুশীল বেশে কিছু ব্যক্তি ও দল বিরোধিতায় নেমে যায়। আমরা প্রয়োজনে তাদেরও প্রতিহত করব।
শিক্ষার্থীরা জানান, ১৯৭১ সালের পর থেকে যে ক্ষমতায় এসেছে তাদের মতো করে সংবিধান পরিবর্তন করেছে। যেই সংবিধান শুধু ফ্যাসিজম শেখায়, সেই সংবিধান তারা চান না।
এই সংবিধানকে কবর দিয়ে ছাত্র-জনতার মতামত নিয়ে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য যে সংবিধান দরকার সেটি চান তারা। সেই সংবিধানে জনতাই হবে সকল ক্ষমতার উৎস। নতুন সংবিধানে সংখ্যালঘুদের কোনো ভয় থাকা যাবে না, ছাত্র-জনতার রক্তও দেয়া লাগবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আজ শহীদ মিনারে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করার কথা ছিল। পরে অন্তর্বর্তী সরকার এ ঘোষণাপত্র পাঠ করবে জানালে আজ ঘোষণাপত্র পাঠ হবে কি না, তা নিয়ে বিভ্রান্তি শুরু হয়।