বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বৈরাচারমুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, এখন সামনে আরেকটি বড় যুদ্ধ। ১৬ বছর ধরে যে অধিকারের জন্য দেশের মানুষ বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা মানুষের সহযোগিতা ও সমর্থন নিয়ে লড়াই করেছিল সেই অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সোমবার জেলা সদরের লক্ষ্মীচাঁপ দুবাছির দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে নীলফামারীতে র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীর পরিবারকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপহারের নতুন বাড়ির চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে নীলফামারী, দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলার শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
নিহত গোলাম রব্বানী ২০১৪ সালে র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হন। তিনি নীলফামারী সদরের লক্ষ্মীচাঁপ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
তারেক রহমান বলেন, বিচারবহির্ভূত গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ডের বিচার এ বাংলার মাটিতেই হতে হবে। পালিয়ে কেউ পার পাবেন না। দেশকে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে হবে। বিগত স্বৈরাচারী সরকার গোলাম রব্বানীর মতো হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। লাখ লাখ মানুষকে নির্যাতন করেছে। দেশের মানুষ চায় না গোলাম রব্বানীর মতো কেউ মৃত্যুবরণ করুক।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে দেশকে গড়বো। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। দেশের ক্ষতি হবে, এমন কোনও কাজ বিএনপি করবে না। আর ভোট হলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কাজ করবে দেশের জন্য, জনগণের জন্য। আন্দোলনে অনেক মানুষ আত্মাহুতি দিয়েছে। এখন দেশ গড়ার সময়। দল মত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে দেশ গড়তে হবে।
সংবিধান পরিবর্তন না করার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, একটি জাতির আত্মজীবনী হচ্ছে সংবিধান। সেটা সংযোজন বা সংশোধন হতে পারে। যেখানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বৈশিষ্ট্য আছে ওটা বাদ দেওয়া যেতে পারে। সেটি হবে রাজনৈতিক দায়িত্ব। তবে বর্তমান সংবিধান অস্বীকার করা মানে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা।