রোববার,

২৯ ডিসেম্বর ২০২৪,

১৫ পৌষ ১৪৩১

রোববার,

২৯ ডিসেম্বর ২০২৪,

১৫ পৌষ ১৪৩১

Radio Today News

সচিবালয়ে আগুন, টঙ্গী হত্যাকাণ্ড ও ইসকনের আস্ফালন এক সূত্রে গাঁথা: মামুনুল হক

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:৪৬, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০৭:৪৭, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

Google News
সচিবালয়ে আগুন, টঙ্গী হত্যাকাণ্ড ও ইসকনের আস্ফালন এক সূত্রে গাঁথা: মামুনুল হক

দেশের স্বার্থবিরোধী ফ্যাসিবাদী আওয়ামীগোষ্ঠী পালালেও তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সচিবালয়ে আগুন, টঙ্গী হত্যাকাণ্ড ও ইসকনের আস্ফালন একই সূত্রে গাঁথা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

আজ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেইটে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের ১৫ বছর পূর্তিতে যুব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

সংগঠনের সভাপতি মাওলানা মামুনুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমীরে মজলিস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী। সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, প্রকাশনা বিভাগের সম্পাদক মাওলানা রাকিবুল ইসলাম ও মজলিসে শূরা খাসের সদস্য মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ মাহমুদের যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমাদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা কুরবান আলী, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা শরাফত হুসাইন, মাওলানা মাহবুবুল হক, মাওলানা তোফাজ্জল হুসাইন মিয়াজী, সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা অ্যাডভোকেট শাহিনুর পাশা চৌধুরী, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নেছারউদ্দীন, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমানও বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীন।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশ আজ দুইভাগে বিভক্ত, একভাগে ভিনদেশি দালাল আরেকদিকে দেশপ্রেমিক জনতা। ভিনদেশি চক্র পনেরোটি বছর এক সেবাদাসীকে দিয়ে বাংলাদেশকে জিম্মি করে রেখেছিল। ৫ আগস্টের বিপ্লবের পর তারা সেই কৃতদাসীকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। তারপর থেকে একের পর এক নতুন ষড়যন্ত্র করছে। সচিবালয়ে অগ্নিসংযোগ তারই একটি অংশ।

এর সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আগুন দিয়ে তোমরা বাংলাদেশের কাগজ পুড়িয়ে ফেলতে পারো কিন্তু হাজারো মানুষের মনে তোমাদের ব্যাপারে যে ঘৃণা জন্মেছে তা মুছে ফেলতে পারবে না। এর আগে ইসকনকে দিয়ে তাদের বাংলাদেশ ধ্বংসের চেষ্টা প্রকাশ পেয়েছে সাইফুল ইসলাম আরিফের হত্যার মধ্য দিয়ে। টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যারা রাতের গভীরে ঘুমিয়ে থাকা নিরীহ মুসল্লিদের ওপর হত্যা ও হামলা কাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা তাবলীগের সাথী নয়; তারা খুনী ও ভিনদেশি শক্তির অংশ। তাদেরসহ ফ্যাসীবাদের সকল দোসরদের রুখে দিতে দেশপ্রেমিক যুবকদের কাজে লাগাতে হবে।

সমাবেশ থেকে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশবিরোধী শক্তিদের স্পেস দিলে আপনাদের স্পেস কমে যাবে। আপনাদের হাতে সময় সীমিত। এ সময় যথাযথভাবে কাজে লাগান।

ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, আমরা আর কোনো ফেলানিকে কাঁটাতারে ঝুলে থাকতে দেখতে চাই না। সীমান্ত রক্ষাকারীদের কোনো লাশ দেখতে চাই না।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের