প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘হাসিনার ফ্যাসিজমের প্রত্যেকটা ক্ষেত্র নিয়ে আমাদের মানুষকে জানাতে হবে। ফ্যাসিজম এর প্রত্যেকটা দিক নিয়ে আমাদের খুব ভালো বই লাগবে, ভালো জার্নালিজম লাগবে, ভালো একাডেমিক ব্রিলিয়ান্স লাগবে।
শুক্রবার রাজধানীর ‘গুলশান লেকশো’র হোটেলে এন্টি ফ্যাসিস্ট কোয়ালিশন, সিটিজেন ইনিশিয়েটিভ ও হিস্টোরিকাল ট্রান্সপারেন্সি সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে ‘হাসিনার গোয়েবলস: ফ্যাসিজমের প্রতি সমর্থন আদায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।’ অনুষ্ঠানটির মূল বক্তব্য দেন মোহাম্মদ আশরাফ আজিজ ফাহিম। ২০ বছরের নিউজের উপর করা রিসার্চের মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন, হাসিনার শাসনামলে কিভাবে মিডিয়া ফ্যাসিবাদের প্রতি সমর্থন আদায়ে কাজ করেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, ‘মায়ের ডাক’ এর প্রতিষ্ঠাতা সানজিদা ইসলাম তুলি, এবি পার্টির সদস্য মজিবুর রহমান মঞ্জু, জামায়াতে ইসলামের প্রকাশনা সহকারী মতিউর রহমান আকন্দ, সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মী কাজী জেসিন।
‘মায়ের ডাক’ এর প্রতিষ্ঠাতা সানজিদা ইসলাম তুলি তার বক্তব্যে গুম হওয়া পরিবারগুলোর কষ্ট তুলে ধরেন। গত ৫ আগস্টের পরেও কেন গুম হওয়া ব্যক্তিরা তাদের অধিকার পাচ্ছে না সেই দাবী তুলেন। গুম হওয়া পরিবারগুলোর ব্যক্তিরাও অনুষ্ঠানে তাদের আকুতি তুলে ধরেন।
মজিবুর রহমান মঞ্জু, মতিউর রহমান আকন্দ হাসিনা শাসনামলে তাদের উপর হওয়া জুলুম তুলে ধরেন। সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মী কাজী জেসিন তার বক্তব্যে হাসিনার আমলে কিভাবে তাকে চাকুরিচুত্য ও হেনস্তা করা হয় তা বলেন। তিনি আরও দাবী করেন, হাসিনার প্রোপাগাণ্ডা মেশিন একটি ছিল না। লুট করা টাকা দিয়ে সে নানান প্রোপাগাণ্ডার কৌশলে বিনিয়োগ করে।
এছাড়াও আয়োজনে ছিল একটি প্রদর্শনী। যেখানে বিভিন্ন পেপার কাটিং থেকে প্রমাণসহ দেখানো হয়েছে ফ্যাসিবাদী বয়ান তৈরিতে মিডিয়ার ভূমিকা কেমন ছিল। বক্তব্য শেষে অতিথিরা এক্সিবিশনটি প্রদশর্ন করে ও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তারা প্রত্যেকেই এরকম আয়োজন আরও বড় পরিসরে দেখতে চেয়েছেন।