জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ভারতের প্রতি স্পষ্টবার্তা দিয়ে বলেছেন, আপনাদেরকে প্রতিবেশী হিসেবে সম্মান করি। আপনারাও আমাদেরকে সম্মান করতে শিখুন। বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের জনগণকে সম্মান দিতে শিখুন। ভারত থেকে চোখ রাঙিয়ে বাংলাদেশ শাসনের চিন্তা করবেন না। বাংলাদেশের মানুষ এখন চোখে চোখ রেখে কথা বলার সাহস অর্জন করেছে। দেশের মানুষ বুক পেতে দিয়ে, ডানা মেলে দিয়ে বলতে পারে গুলি কর। সেই দেশের মানুষকে আর ভয় দেখাবেন না।
শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে জামায়াতের আমির বলেন, তিনি ছিলেন সেবাদাসী। এজন্য তিনি দাসত্বের শৃঙ্খলে দেশের জনগণকে বন্দি করতে চেয়েছিলেন। আমাদের সন্তানদের নেতৃত্বে সেই শৃঙ্খল জাতি ভেঙে ফেলেছে। আমাদের জাতির গলায় আর শৃঙ্খল পরানো যাবে না ইনশাআল্লাহ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ফুটবল মাঠে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারোমাইল মোড়ে উপজেলা জামায়াত আয়োজিত পথসভায় বক্তৃতা করেন।
পথসভায় জামায়াতের আমির বলেন, বিগত ১৫ বছর তারা দেশকে সাজাতে পারেনি। তারা দেশকে না সাজিয়ে নিজেদেরকে সাজিয়েছে। দেশের মানুষের হাতে কাজ তুলে দেওয়ার পরিবর্তে দেশের মানুষের রিজিক তারা তুলে নিয়েছে। লাখো বেকারের মিছিলে জনগণ ছিল পিষ্ঠ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাত থেকে কলম কেড়ে নিয়ে হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। এ দেশের মানুষের হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে অর্জিত টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন অনেকে জিজ্ঞেস করেন তারা নির্বাচনে আসবে কি? আমি বলি- যারা গণহত্যা করেছে, গদিতে থাকার জন্য দেশের মানুষের টাকায় কেনা অস্ত্র দিয়ে দেশের মানুষের বুকে গুলি ছুড়েছে তারা কি এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে? স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও শান্তি দিতে চাচ্ছে না। এই সমাজকে, দেশকে অস্থির করার জন্য ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
দুর্নীতিবাজ-দখলদার মুক্ত দেশ গড়ার কথা জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এ দেশকে ভালবাসি, এ দেশকে গড়তে চাই। এমন একটি সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে চাই যেখানে দুর্নীতিবাজ দখলদারদের অস্তিত্ব থাকবে না। যে সমাজে আমাদের মা-বোনেরা ইজ্জতের সঙ্গে ঘরে এবং বাইরে চলতে পারবে। যেই সমাজে যোগ্যতা অনুযায়ী যুবকরা কাজ করতে চায়। সেই সমাজ আমরা হাতে হাত রেখে গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ।