বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের মিয়ানমার অংশটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া নিয়ে এক প্রশ্নে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘আমরা এ ঘটনাবলির দিকে ঘনিষ্ঠ নজর রাখছি। সংঘাত ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় আমরা উদ্বিগ্ন। রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সমাধানে সহায়তা করার বিষয়টি আমাদের জন্য অগ্রাধিকার।’
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ম্যাথিউ মিলার প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ব্রিফিংটি প্রকাশ করা হয়। মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে উদারতা দেখিয়েছে; আমরা রোহিঙ্গা ও মিয়ানমারে অন্যান্য দুর্বল সম্প্রদায়ের যেসব সদস্য সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের সহায়তায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।’
এর আগে আরেক সাংবাদিক কয়েকটি প্রশ্ন করেন, যেগুলোর জবাব এড়িয়ে যান পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মিলার। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন করেন। ওই পোস্ট দেওয়ার কিছুক্ষণ পর মাহফুজ তা সরিয়ে নেন। এতে বৃহত্তর বাংলার কথা বলা হয়েছে। মিলার বলেন, তিনি এ ধরনের কোনো পোস্ট সম্পর্কে অবগত নন। তাই মন্তব্য করবেন না। ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার প্রধান আসামি ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ বিষয়ে কিছু বলুন। জবাবে কোনো মন্তব্য করেননি ম্যাথিউ মিলার।
এরপরই বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই সাংবাদিক। জবাবে মিলার বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে যুক্ত আছি। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকা উচিত বলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে।’
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম