বাংলাদেশে বিদ্যুতের চড়া দামের অন্যতম কারণ ক্যাপাসিটি পেমেন্ট। এই পেমেন্ট গত কয়েক বছর ধরে বিদ্যুৎ খাতের ব্যয় বিপুল পরিমাণে বাড়িয়েছে। কেবল ২০২৩ অর্থবছরেই সরকার ২৬ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে তিন দিন ব্যাপী ‘বাংলাদেশ জ্বালানি সমৃদ্ধি ২০৫০’ সম্মেলনের সমাপনী দিনে বিশেষজ্ঞরা এই দাবি করেছেন। একই সঙ্গে নবায়নযোগ্য শক্তি সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম আমদানিতে শুল্ক কমানোর দাবিও জানিয়েছেন তারা।
অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সমন্বিত বিদ্যুৎ-জ্বালানি মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) অবশ্যই বাতিল হওয়া উচিত। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো এবং বিদ্যুৎ মিশ্রণে নবায়নযোগ্য শক্তির পরিমাণ বাড়ানো এমন মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে নতুন একটি বিদ্যুৎ-জ্বালানি মহাপরিকল্পনা বানানো ও কার্যকর করা উচিত। তিনি বলেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ছিল না, এখন তা নিশ্চিত করতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার কেন এখন পর্যন্ত কোনো নেট-জিরো টার্গেট ঠিক করতে পারেনি, এমন প্রশ্ন করে বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয় এখনও বাংলাদেশের নেট-জিরো লক্ষ্য ঘোষণা করেনি। আর এই কারণেই দেশে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ছে না।
এ প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, অন্য মন্ত্রণালয়ের সমর্থন পেলে অর্জন করা সম্ভব এমন নেট-জিরো লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশও ঠিক করতে পারবে। তিনি বলেন, আমরা এখনও বিগত সরকারের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে আমরা পরিবর্তন আনার সুযোগও পেয়েছি।
সোলার অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি জাহিদুল আলম বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির সংশ্লিষ্ট মালামালের আমদানি শুল্ক কমানো না গেলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কখনই ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারবে না।