সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ধর্ম সংস্কৃতির একটি বড় অংশ, অথচ শাহবাগের আড্ডায় পূজা, বড়দিন নিয়ে আলোচনা করা ঠিক হলেও ঈদ নিয়ে আলোচনায় অনেকের অনাগ্রহ দেখতাম। কিন্তু ধর্মীয় এই বিভাজন তো থাকার কথা ছিল না। জুলাই আন্দোলন আমাদের আলোর দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ফারুকী বলেন, গত ১৫ বছরে আমাদের রাজনৈতিক ও সংস্কৃতির অধঃপতন হয়েছে।
এ সময় জানানো হয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় পূর্বের একটি গাড়ির সঙ্গে আরও ২টি গাড়ি সংযোজন করে দেশের ৬৪টি জেলা এবং সংলগ্ন উপজেলা ও বিভিন্ন শহরে ১২৮টি স্থানে বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করা হবে। স্থানীয় পর্যায়ে বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব পরিচালিত হবে মেটলাইফ ফাউন্ডেশন-এর সহযোগিতায়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আতাউর রহমান, বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। অনুষ্ঠানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, সোনার মানুষ তৈরি করতে না পারলে সোনার বাংলা তৈরি হবে না।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাঠকদের ভালো বই সংগ্রহের সুযোগ তৈরিতে এমন আয়োজন। দেশব্যাপী জ্ঞানপিপাসু পাঠকদের চাহিদা ও অগ্রহের ভিত্তিতে এবছর মেলায় থাকছে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, কবিতা, জীবনী, ইতিহাস, গবেষণা গ্রন্থ, মুক্তিযুদ্ধ, অনুবাদ, সাইন্স ফিকশন, রূপকথা ও ছোটদের জন্য বাছাই করা শ্রেষ্ঠ বই। বইমেলা প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থী, পাঠক ও ক্রেতার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বই সহজলোভ্য করার জন্য বইয়ের গায়ে লিখিত মূল্য থেকে বিশেষ ছাড়ে/কমিশনে বিক্রি করা হবে। মেলায় শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক চর্চার অংশ হিসেবে একক অভিনয়, গল্প বলা, কবিতা আবৃত্তি, ছড়া পাঠ, ম্যাপের ফেলা, দেয়াল পত্রিকা তৈরি, বই নিয়ে আলোচনা, বিশেষ বিষয়ে বক্তৃতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।