পঞ্চগড় সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক আনোয়ার হোসেনের হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
শনিবার রাতে এক এক্স পোস্টে তিনি লেখেন, এই হত্যাকাণ্ড একক ঘটনা নয়, বরং বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে বিএসএফের হাতে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যাকাণ্ডের একটি ধারাবাহিক ঘটনা। যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি এবং সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অনুপাতিকতার নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর তথ্য অনুযায়ী ২০০৯ থেকে ২০২০ পর্যন্ত বিএসএফের হাতে ৫২২ জন বাংলাদেশি নিহত হন, যার মধ্যে ৩২৪ জন গুলিতে নিহত হন এবং অন্যরা নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করেন। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ২০১০ সালে প্রকাশিত 'ট্রিগার হ্যাপি' শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে বিএসএফের হাতে ২০০৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ৩৪৭ বাংলাদেশি এবং ১৬৪ ভারতীয় নাগরিকের হত্যার কথা উল্লেখ করে।
এছাড়া, ২০২৩ সালে ৩৪, ২০২২ এবং ২০২১ সালে ১৮ জন বাংলাদেশি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন। বিএসএফ কর্তৃপক্ষ প্রায়ই এই হত্যাকাণ্ডগুলিকে চোরাচালান বা আত্মরক্ষার দাবি করে সাফাই দিতে চায়, যা ২০১৮ সালের চুক্তির লঙ্ঘন। ওই চুক্তি অনুযায়ী, ভারত ও বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, সীমান্তে ২০১০ সালে ৩০০-এরও বেশি বাংলাদেশির প্রাণহানির ঘটনা, যা গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী সরকারের অধীনে ঘটেছে, দুই দেশের মিত্রতার প্রচারের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তিনি ভারত সরকারকে মানবাধিকার পরিপালন এবং সীমান্তে সমস্ত অপারেশনকে অনুপাতিক, মানবিক এবং জীবনাধিকারের সম্মানজনক করতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম