আওয়ামী লীগ নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে বলে দাবি করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, আওয়ামী লীগকে কে সংগঠিত করছে, কে দায়িত্ব নিয়েছে, কোথায়, কখন এবং কোন বাসায় তিনি আছেন, সে তথ্য আমার কাছে আছে। এদের এখনই থামাতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মগবাজারে এলডিপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দোসরদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তর পুলিশ ও প্রশাসনে বসে আছে। এখনও স্বৈরাচারের দোসররা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিজ অবস্থানে রয়েছে। আমি ড. ইউনূসকে বলব, আর কালবিলম্ব না করে স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করুন। তাদের বদলি কোনো সমাধান নয়। চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে।
দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে কর্নেল অলি বলেন, আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের দোসরদের কাছেও কোটি কোটি টাকা আছে। এটা শেখ হাসিনা নিজেও বলেছেন, তার পিয়নের কাছে ৪০০ কোটি টাকা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে অংশ না নিয়ে ফিরে যাওয়ার প্রসঙ্গে অলি বলেন, যে কারণেই হোক না কেন, আমরা সেখানে উপস্থিত থাকতে পারিনি। যার জন্য সরকারের একজন উপদেষ্টা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, আগামীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। সুতরাং এ নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
কর্নেল অলি বলেন, অভিজ্ঞতার মূল্য দিতে হবে। লেখাপড়া, বই পড়ে আপনি গবেষণা করতে পারবেন। তবে অভিজ্ঞ লোকদের বিভিন্ন জায়গায় বসাতে হবে। আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে, আমি ছয়বার সংসদ সদস্য ও তিনবার সফল মন্ত্রী ছিলাম। সুতরাং রাষ্ট্র পরিচালনায় কে, কোথায় কীভাবে কাজ করছে, কে ভুল করছে, তা আমাদের পক্ষে নির্ণয় করা কঠিন কাজ নয়।
এলডিপির প্রেসিডেন্ট দাবি করে বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনকাল ছাড়া বাকি সময়টুকু ভারতের দালাল হিসেবে কাজ করছে বাকিরা। বর্তমানে কাউকে আমরা ভারতের দালাল হিসেবে কাজ করতে দেব না। আমার ভারতের বিপক্ষে না, এবার বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে যেভাবে দুর্গাপূজা হয়েছে, তা গত ৫০ বছরেও হয়নি। মুসলমানরা মন্দির পাহারা দিয়েছে, এটা বিরল ঘটনা। তাই ভারত সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, শত্রুতামূলক মনোভাব পরিহার করা।