বিগত পনের বছর একটি তাবেদার সরকার বসিয়ে ভারত সরকার বাংলাদেশকে একটি করদ রাজ্যে পরিনত করার প্রয়াস চালিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ কখনো কারও দাসত্ব মেনে নেয়নি। জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশে যখন ভারতের করদরাজ্য ভেঙ্গে পড়েছে তখন তাদের মাথা নষ্ট হয়েছে। এখন তারা আমাদের হাইকমিশন গুলোতে আক্রমণ করছে। বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাঁড়াবে বলে দাবি করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টি।
আজ আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ভারতীয় উগ্র হিন্দুত্ব বাদীদের হামলার প্রতিবাদে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে পার্টির নেতারা এই বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হক। বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন ও ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স ।
বিএম নাজমুল হক বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলার মাধ্যমে ভারত প্রমাণ করেছে তারা বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারেনা। তারা বাংলাদেশের দীর্ঘ সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেবেনা।
আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা বলেন, আমার ঘার আর ভারতের তলোয়ার এই ভাবে বন্ধুত্ব হবেনা। ভারত বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক রাখতে চাইলে তাকে হাসিনার বন্ধুত্ব ত্যাগ করতে হবে। বাংলাদেশের জনগণের সাথে সম্পর্ক করতে হবে। কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয় ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আমাদের অ্যাম্বেসীতে হামলার মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ক ধ্বংস করেছে। আমাদের পতাকা পদদলিত করেছে। এটা বাংলাদেশের জনগণ কখনো মেনে নেবেনা।
আনোয়ার সাদাত টুটুল বলেন, অ্যাম্বেসীতে হামলা করে, পতাকায় আগুন দিয়ে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা আমাদের হৃদয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমরা ভারতীয় সরকারকে বলতে চাই, অবিলম্বে যদি আপনারা এই উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীকে না থামান তাহলে আমাদের এই আগুন থামবেনা।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর, কাকরাইল, পল্টন সহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাসির, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব আহমাদ বারকাজ নাসির, কেফায়েত হোসেন তানভীর, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, মহানগর উত্তরের যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুর রব জামিল, যুবপার্টির প্রচার সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, শাহীনুর আক্তার শীলা সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।