স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী-চক্রান্তকারী কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’
মঙ্গলবার রংপুরের পীরগাছায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘একটা গ্রেফতারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, কেউ যদি রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে, সে যেই হোক, যত বড় নেতাই হোক– তাকে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে সম্প্রদায়ের বিবেচনায় নয়, রাষ্ট্রের বিবেচনায় দেশের নিরাপত্তার বিবেচনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’
উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রকারীদের সতর্ক করে বলেন, ‘আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ চাই। কাউকে যাতে সম্প্রদায়ের পরিচিতির কারণে নিপীড়নের শিকার হতে না হয়, আমরা তা নিশ্চিত করতে চাই। তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে কোনও প্রকার হস্তক্ষেপ বা আঘাত আসে, রাষ্ট্রের প্রতি অবমাননা হয়, রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনা ঘটানো হয়, তা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
‘বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন গোষ্ঠীকে উসকে দিয়ে সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। জনগণকে এক হাজার কোটি টাকার ঋণ দেওয়ার কথা বলে রাজধানীতে এনে অরাজকতা করার চেষ্টা করেছিল; কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্ররা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। এ ঘটনায় অহিংস গণঅভুত্থানের আহ্বায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিটি শহীদ পরিবারের সদস্যদের ৩০ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা দেওয়াসহ আজীবন তাদের পাশে থাকা হবে। একই সঙ্গে আহতদের পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।’
এ সময় ছয় শতাধিক পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন উপদেষ্টা। পরে তিনি কাউনিয়া উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মঞ্জু মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম, মামুন মিয়ার বাবা আজগর আলী, শহীদ সাইফুল ইসলামের স্ত্রী রানী বেগম কষ্টের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন– রংপুর জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল, পুলিশ সুপার শরীফ আহমেদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।