প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের ঘটনায় যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা সরকার দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, পত্রিকা অফিসে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় সরকার ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু মানুষ যেন বাধা ছাড়া ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারে, সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেওয়ার কিছু নেই।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, বিগত সময়ে নানা গণমাধ্যমের ওপর ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তাও সত্য। গণমাধ্যমের উচিত জনগণের কাছে এসব বিষয় স্পষ্ট করা। সাংবাদিকতা নিয়ে মানুষের মনে এক ধরণের ধোঁয়াশা বিদ্যমান। এক সময় মানুষ টিভি দেখা বন্ধ করে দিয়েছে, কারণ আগেই জানতো কী বলা হবে। গণমাধ্যমের ওপর মানুষের বিশ্বাস অনেকটাই কমে গিয়েছিল। নানামুখী প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছিল, আর্থিক সুবিধাও নিতো অনেকে।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় একটা স্বাধীনতা দিতে চায়, সরকারের পক্ষ থেকো কোনো বাধা- নিষেধ থাকবে না। কিন্তু সাংবাদিকরা কীভাবে গণমাধ্যমকে দেখতে চায় তাও গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন সবার সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন দেবে। তারপর মন্ত্রণালয় সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবে।
সরকার গণমাধ্যমের কাছে গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশা করে জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, এখন বিটিভিও কিন্তু সরকারের সমালোচনা করছে। কিন্তু আমরা গণমাধ্যম থেকে চাওয়া অনুযায়ী সহায়তা পাচ্ছিনা। সোমবারের ঘটনায় গণমাধ্যম সঠিক খবর দেয়নি। অনেকে বলে দিলো ৫/৭ জন মারা গেছে। কিন্তু তা সঠিক নয়।
তিনি আরও বলেন, তার আগের দিন বলা হলো ২২ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আসলে তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
নাহিদ বলেন, সরকারের প্রত্যাশা, সবার কাছে সঠিক তথ্য যাক। এই সরকারের নিজস্ব কোনো প্রচার বাহিনী নেই, যা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তাকে। তাই গণমাধ্যমের মাধ্যমেই আমাদের বার্তা তৃণমূলে পৌঁছাবে। সেদিক থেকে সহায়তা চাই। সরকার গণমাধ্যমে কোনো হস্তক্ষেপ করছে না।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম