আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে শাপলা চত্বরে হেফাজতের ওপর গণহত্যাসহ আওয়ামী লীগের শাসনামলে সংঘটিত সব মানবতাবিরোধী অপরাধের মূল পরিকল্পনায় ছিলেন শেখ হাসিনা, আর বাকি আসামিরা এসব অপরাধে তাকে সহযোগিতা করেছেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। বেলা ১১টায় অভিযোগের শুনানি শুরু হয়। এর আগে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে তাদের এজলাসে তোলা হয়।
শুনানিতে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে এসব আসামি সরাসরি জড়িত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের গণহত্যা এবং জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর চালানো নিপীড়নসহ অসংখ্য মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
তাজুল ইসলাম আরও দাবি করেন, গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে অন্তত দেড় হাজার মানুষকে হত্যা এবং ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে আহত করা হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডের মূল পরিকল্পনায় ছিলেন শেখ হাসিনা, আর বাকি আসামিরা তাকে সহযোগিতা করেছেন।
এদিন সকাল ১০টায় প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের আদালতে আনা হয়। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ৪৬ জনের মধ্যে এই প্রথম ১৩ জনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলো।
হাজির হওয়া ১৩ আসামি হলেন— সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, শাজাহান খান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
তবে অসুস্থতার কারণে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে এদিন আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।