বৃহস্পতিবার,

১৪ নভেম্বর ২০২৪,

৩০ কার্তিক ১৪৩১

বৃহস্পতিবার,

১৪ নভেম্বর ২০২৪,

৩০ কার্তিক ১৪৩১

Radio Today News

খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিলের ওপর আজ আদেশ

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৪৬, ১১ নভেম্বর ২০২৪

Google News
খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিলের ওপর আজ আদেশ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিলের ওপর আপিল বিভাগে শুনানি শেষ হয়েছে। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চে রবিবার এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ সোমবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল বক্তব্য রাখেন। এই মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বিএনপি চেয়ারপারসনের দেওয়া বক্তব্য আদালতে তুলে ধরে তিনি বলেন, উনার লিখিত এই বক্তব্য ছিল মাইলস্টোন। দুদকের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান মামলার এজাহার, চার্জশিট ও আসামি পক্ষের সাফাই সাক্ষীদের বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা আত্মসাত্ হয়নি। জাস্ট ফান্ডটা (তহবিল) মুভ (স্থানান্তর) হয়েছে। তবে সুদে-আসলে ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই টাকা জমা আছে। কোনো টাকা ব্যয়ও হয়নি।

খালেদা জিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন এমন সাক্ষ্য কোনো সাক্ষী আদালতে দেননি। সাক্ষীদের সাক্ষ্য এবং ৩৪২ ধারায় খালেদা জিয়ার বক্তব্য বিবেচনা না করেই আদালত একতরফাভাবে সাজার রায় দিয়েছেন। রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখতেই তখন এই রায় দেওয়া হয়। আইনগতভাবে এই রায় টিকতে পারে না।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, নিম্ন আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সাজা দেয়। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে একতরফা শুনানি করে সাজা ১০ বছর করে। আদালতের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার প্রতি এই অবিচার করা হয়েছে। যা কাম্য নয়।

ব্যারিস্টার এম. মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সরকার দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়েই বিচারকরা খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছেন। এটা অন্যায়। এ রায় অবশ্যই বাতিল করা দরকার।

ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালত যেসব সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এই রায় দিয়েছে এর কোনো সাক্ষ্যগত মূল্য নেই। দুটি রায়কে পর্যালোচনা করে আপিল বিভাগ আদেশ দেবেন সেটাই প্রত্যাশা।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ আরো পাঁচ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়। সরকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চার মাসের মধ্যে খালেদা জিয়ার আপিল নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে হাইকোর্ট আপিল নিষ্পত্তি করে এই মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর থেকে সাজা ১০ বছর বৃদ্ধি করে রায় দেয়। এই রায় নিয়ে তখন রাজনৈতিক ও আইন অঙ্গনে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের