রাজনৈতিক সুবিধা নিতে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউতে ‘সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষায় দরকার রাজনৈতিক ঐক্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মাইনরিটিস ওয়াচ ও হিউম্যান রাইটস অ্যালায়েন্স, বাংলাদেশ। যেখানে অংশ নেন দেশের ভিন্ন ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেদের ওপর হামলা হচ্ছে— এটা একটি রাজনৈতিক প্রচারণার বিষয়। এই প্রচারণাটা করছে আওয়ামী লীগের লোকেরা। ভারতের পত্র-পত্রিকার একটা অংশ করছে। যুক্তরাষ্ট্রকে এটা বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে— এখানে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে। এখানে একটা রাজনীতির জায়গা আছে। এই রাজনীতি যদি নতুন সরকারের বিরুদ্ধে করা যায়, তবে এদের দুর্বল করা যাবে। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিক সুবিধা হচ্ছে। এই রাজনৈতিক চালটা ভেঙে দেওয়া দরকার।’
গণসংহতি আন্দোলনের নেতা বলেন, ‘বিগত সরকার কিছু সংখ্যালঘুর সুযোগ দিয়ে আপামর হিন্দুদের স্বার্থ হানি করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোককে নিয়োগ দিয়েছে। বুঝানো হয়েছে সংখ্যাগোরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ভালো আছে। কিন্তু আসলে কি ছিলেন? ভালো ছিলেন না। আবার কখনো আপনার বাড়িতে হামলা করে বিরাট রাজনৈতিক ফয়দা নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এ জন্য রাজনীতির মধ্যেও একটা গণতান্ত্রিক শক্তি দরকার। আমরা একটা নতুন গণতন্ত্র শক্তি গড়ে তুলতে পারছি কি না সেদিকে নজর দিতে হবে। মানবাধিকার, সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও সেটাকে ধারণ করতে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক শক্তি দরকার। আওয়ামী লীগ সেই রাজনৈতিক শক্তি না।’
সাকি আরও বলেন, ‘অভ্যুত্থানকে বাঙালি, চাকমা, মারমা সকল জাতি যেন নিজেদের অর্জন মনে করে। সরকারকে আমরা বলবো, সবার অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার জন্য। অভ্যুত্থানকে যারা সংখ্যায় কম তারাও নিজের মনে করবে যদি তাদের নিরাপত্তায় সরকার কাজ করে।’
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম