আওয়ামী লীগসহ ১১ দলকে রাজনৈতিক কার্যক্রম ও ভবিষ্যতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখতে পৃথক রিট করেছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক। তিন দিনের মাথায় সেটি আদালতের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী।
‘গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য’ রিটটি সমন্বয়করা চালাবেন না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এ তথ্য জানান আইনজীবী আহসানুল করীম। তিনি সমন্বয়কদের করা রিটটিতে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আওয়ামী লীগসহ ১১ দলের বিরুদ্ধে করা দুই রিট না চালানোর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করীম বলেন, কোনো মামলা যদি ক্লায়েন্ট (মক্কেল) প্রত্যাহার করতে চান, তিনি তখন মামলা প্রত্যাহার করার ইন্সন্ট্রাকশন দেন। আর আইনজীবী সে হিসেবে কাজ করেন। মক্কেল কখনো বলেন না তিনি কি কারণে ইন্সট্রাকশন দিচ্ছেন। সুতরাং আমি তো বলতে পারব না কি কারণে মামলাটা চালানো হচ্ছে না।
এ বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরে তিনি বলেন, এটা বোঝা যায় সার্বিক গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য, দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য তারা (আবেদনকারী) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যখন কোনো মামলা চালাতে না চায় তখন কার্যতালিকা থেকে বাদ হয়ে যায়।
আবেদনে ১১ দলের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে ভুলক্রমে কিছু দলের নাম চলে এসেছে। কিছু নাম বাদও পড়েছে। সেটা সংশোধনের প্রয়োজন ছিল। যদি মামলা মুভ হতো তাহলে নামগুলো বাদ যেতো।
এর আগে গত রোববার (২৭ অক্টোবর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. সারজিস আলম আবুল হাসনাত ও হাসিবুল আলম আওয়ামী লীগসহ ১১ দলকে রাজনৈতিক কার্যক্রম ও ভবিষ্যতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখতে পৃথক দুটি রিট করেন।
এক রিটে নির্বিচারে মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, বে-আইনি প্রক্রিয়ায় অ-সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। একইসঙ্গে ১১টি দলের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের পাশাপাশি ভবিষ্যতে সব ধরনের নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে দলগুলোকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেই বিষয়েও রুল জারির আবেদন করা হয় রিটে।
অপর রিটে আওয়ামী লীগের অধীনে অনুষ্ঠিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, ওই তিনটি নির্বাচনের পর জারি করা গেজেট কেন বাতিল করা হবে না মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
রিটে ওই তিন নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়ে প্লট বরাদ্দ পাওয়া, ডিউটি ফ্রি গাড়ি আমদানিতে কাস্টম বেনিফিটসহ প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা বাতিলে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেই মর্মেও রুল জারির আবেদন করা হয়।